পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ve ) মুথের আকার ধারণ করে ; অন্ত দিকে শরীরের দেহভাগ ক্রমশঃ লম্বা হইতে থাকে কিন্তু অস্ত্র পূর্ব্ববৎই রহিয়া যায়। কাজেই দেহের হিসাবে ক্রমে অন্ত্র থাট হইয় পড়ে। এইরূপে অস্ত্রের খর্ব্বতা বয়স্থদের আমিস আহারের প্রবৃত্তির অমুকুল । গেলারির মাঝখানের খাড়া কেসে তিনটি ভিন্ন জাতীয় বেঙের ক্রমিক রূপান্তর-প্রণালী, বিভিন্ন বয়সের অনেকগুলি বেঙাচি-শ্রেণী দ্বার পর পর সাজাইয়া দেখান হুইয়াছে । ভেকাদির দেহে দুই রকমের শ্বাসগ্রহণের যন্ত্রের উদ্ভব ভেকাদির জীবনে একটি অত্যাবগুকীয় অথচ লাক্ষণিক ঘটনা । এই দুই প্রকারের শ্বাসযন্ত্র, গিল ও ফুসফুসের কথা পূর্ব্বেই উল্লেখ করা হইয়াছে। ফুসফুস গলনালীর সন্মুখভাগে ফাপা চোঙ্গের মতন হইয়া প্রথম উৎপন্ন হয়, এবং ইহাদের দেয়ালের গায়ের পাতলা আবরণের নীচের রক্ত বাহী কৈশিক নাড়ীর রক্ত হইতে অসমোসিস (Osmosis) প্রক্রিয়ার সাহায্যে নাক ও মুখ দ্বারা বায়ুনালীর (Windpipe) পথে যে বায়ু টানিয়া ফুসফুসের চোঙ্গের ভিতর নেওয়া হইয়াছে সেই বায়ু হইতে কারবণ ডাইঅক্সাইডের ( Carbon Dioxide ) পরিবর্ত্তে অক্সিজন গ্রহণ করিয়া ইহার রক্তের শোধন কার্য্য চালায়। গিলগুলি শিরদাড়াওয়ালা প্রাণী-শিশুর গলার পাশের ছিদ্রের মধ্যস্ত ব্রেঙ্কিয়েল আরচেসের ( Branchial arches , উপরস্থ বা চতুষ্পাশ্বস্থ ঘনসমাবিষ্ট কৈশিক রক্তনালীর সমষ্টি। ইহার পাতলা আবরণের সাহায্যে জলে মিশান বায়ু হইতে অক্সিজেনের সহিত রক্তস্থ কারবণ ডাইঅক্সাইডের আদান-প্রদান চলিয়া থাকে । কয়েকটি সালামানডারে গিল গুলি চিরজীবন থাকে, কাজেই সেই সব সালামানডারে শ্বাসকার্য্য গিল ও ফুসফুস এই উভয় যন্ত্রদ্বারাই সম্পন্ন হয়। তবে গিলগুলি বাহিরের যন্ত্র আর ফুসফুস একেবারে আভ্যন্তরিক। যে সব ব্যাট্রাকিয়েনদের গিল বরাবর থাকিয়া যায় তাহাদিগকে পেরিনিব্রানকিয়াটা ( Perenntbrakchiata ) বলা হয় । উত্তর আমেরিকার ঐরূপ ছুইটী প্রাণী ( Necturus maculatus) csata sēsts i à nto অষ্ট্ৰীয়ার অন্তর্গত কেরিনোলার গুহার চির-গিলধারী অদ্ভুত অন্ধ ওলম ( (Proteas = Olm ) নামক প্রাণীটিও ঐ খাড়া কেসে দেখান হইয়াছে।