পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না জানি ঘরের বাসন বঁাধা রাখতে হয়েছে মেলায় আসার খরচের জন্য । বাসনের মত দামী জিনিসের দোকানে ওরকম ভিড় হওয়াই তো অসম্ভব। তবু এই গরীব মানুষের মেলায় যত লোক বাসন। কিনতে চায় এবং কেনে সেটা খেয়াল করলে আশ্চর্য হবারই কথা ! পরদিন মেলাতেই লক্ষ্মীর সঙ্গে আবার তার বাসন নিয়ে কথা হয়। আগের দিন যে সময় গিয়েছিল আজ তার খানিকটা আগেই শুভ মেলায় যায়। লক্ষ্মীর ঠাসবুনানি দেহটার আকর্ষণে নয়, তার সঙ্গে বাসন নিয়ে আরও কিছুক্ষণ আলাপ করার তাগিদে। বাসনের কথা ভাবতে ভাবতে, হাতেনাতে একটা কাজ আরম্ভ করার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় ওই চিন্তা আর কল্পনার খুটিনাটি নিয়ে সে মশগুল হয়ে গেছে। রাতারাতি । লক্ষ্মীর দেহটা গায়ের জোরে অথবা প্রেমের জোরে ভোগ করা না করা নিয়ে তার আর বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। একটি বাসনের দোকানের মালিকের সঙ্গে শুভ আলাপ-আলোচনা চালায় । প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে। বাসনের কথা লক্ষ্মীর কাছেই জানা যাবে, দোকানীর কাছ থেকে শুভ জানিবার চেষ্টা করে বাসন যারা বানায় আর বিক্রী করে তাদের কথা । সকলে তারা কঁথাসারি নয়। কোন দোকানের মালিক নিজেই বাসন তৈরী করে, কোনো দোকানের মালিক তৈরী বাসন কিনে নিয়ে লাভ রেখে বিক্রী করে। এ সমস্যাটাই একটু মুশকিলে ফেলে দেয় শুভকে। ষে নিজে বাসন তৈরী করে আর যে অন্যের তৈরী বাসন কিনে বিক্রী করে তারা পাশাপাশি দোকান দিয়ে একাদরে বাসন বেচছে । কঁাসরি গোষ্টিকে সে তখন খুটিয়ে খুটিয়ে জেরা করছিল। গোষ্ঠ ভাবছিল সেদিন বেরোবার সময় লক্ষ্মীর পটে কপাল ঠেকাবার সময় গোটা কপালটা। ঠেকায় নি। নইলে এমন বিপদ ঘটে ? খদের ভিড় করেছে দোকানে, সেদিক তার নজর দেবার উপায় নেই, ছোটবাবুর আবোল তাবোল প্রশ্নের জবাব দিতে হবে সসন্ত্রমে ! >\○○