পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাদের পক্ষ নিয়ে বলতে যাব, তারাও কি খেলো ভাববে না। আমাকে ? এ কথা মনে আসবেই যে লোকটা কি সুবিধাবাদী-একটা চাকরির জন্য ডিগবাজি খেয়ে আমাদের দিকে ভিড়েছে । ক্লিষ্ট বিষন্ন দৃষ্টি জীবনের। বোঝা যায়, ত্রিভুবনের কাছে কালী-সাধনায় শান্তি খুজতে গেলেও প্রাণটা তার অশাস্তিতে ভরে আছে। তার শান্ত প্রসন্ন ভাবটা শুধু বাইরের। কৈলাস যেন নতুন আলোকের সন্ধান পায়। এ কথার সবটা হয়তো সত্য নয় যে নিছক আদর্শের খাতিরে কংগ্রেসের ভুল সংশোধন করা কর্তব্য মনে করে জীবন নতুন পথ বেছে নিয়েছে। সারা জীবনের ত্যাগ ও দেশসেবার পুরস্কার বাগিয়ে নেবার সুযোগ এলে সে কিছুই করতে পারেনি, মানুষটা সে ধাচের নয়। তাই বলে সে কি আর আশা করেনি। কিছুই ? তার ধারণা ছিল, দীর্ঘকালের ত্যাগস্বীকার জেলখাটার পুরস্কার স্বাভাবিক নিয়মে। এবার আপনা থেকেই তার জুটে যাবে! জুটে যদি যেত। পুরস্কার তবে হয়তো সাধারণ মানুষ আর পাত্তা পেত না তার কাছে। দেশের অবস্থা দেখে হয়তে! কান্না পেত জীবনের, মনে মনে সে কামনা করত প্রতিকার হোক-কিন্তু সাধারণ মানুষের পক্ষে সে আর ভিড়ত না । লোকে কি বলবে ভেবে আজ যেমন ছুটি নিয়েছে, এমনি ভাবে গা বঁচিয়ে ডুব দিয়ে রেহাই খুজে নিত। আবার দেশের মানুষের জন্য প্রাণটা তার কঁাদলেও একেবারে কোন আশা না নিয়েই কি আর সে তাদের পক্ষে ভিড়ে পড়েছিল! শুভরা এ পক্ষে না থাকলে হয়তো সে মন স্থির করে উঠতেই পারত না । তবে মঙ্গল সে চায় বৈ কি দেশের লোকের। এ চাওয়ার মধ্যে ভেজাল