পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবার খেয়াল হল না যে দোষটা জাতীয়তাবাদেরও নয়, দেশকে ভালবাসার কুসংস্কারেরও নয়, কোনদিকে তার কোন সুযোগ না থাকাটাই আসল কথা?” তার এত দামী বিদ্যাকে সত্যিকারের কাজে লাগাবার কোন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা থাকলে তো বলাই যেত যে অন্তত সামনে-দোয়ানো খাটি দুধের মত খাটি স্বাধীনতা পাওয়া গেছে ! গোরুকে মুখ দিয়ে বিশেষ বিশেষ খাদ্য খাইয়ে আইনসঙ্গত উপায়ে দুধটা জোলো করে বাড়িয়ে নেবার প্রক্রিয়াটা না হয় মার্জনীয় হত। বাসনের কারখানা সম্পর্কে শুভর বিরাগ টের পেলেও তার মনের কথাটা কেউ জানতে পারেনি। শুভ মুখ ফুটে কিছুই বলেনি কাউকে। কোন মুখে বলবে ? কি ভাববে সকলে ? লোকসান দিয়ে চালাতে হলেও বাসনের কারখানা বন্ধ করে সকলের কাছে সে খামখেয়ালী বনতে পারে না, হার মানতে পারে না । এটা থাকবে, একটা আনুষঙ্গিক প্রচেষ্টা হিসাবে, সাইড লাইন হিসাবে থাকবে । এবার ভেবেচিন্তে সে এমন কিছুতে হাত দেবে যা তার জীবন ও প্রতিভা দুয়ের সঙ্গেই খাপ খায়। সেটা কি সে জানে না । কবে জানবে তাও জানে না । এই শেষের অনিশ্চয়তাই তাকে পীড়ন করছে সবচেয়ে বেশী । আজকাল সে ঘন ঘন কলকাতায় যায়। কোনদিন ফিরতে রাত্রি গভীর হয়, কোনদিন রাত্রে ফেরে না। আত্মীয়বন্ধুর বাডিতে অথবা হোটেলে রাত কাটিয়ে দেয় । তবে পরদিন কাজ আরম্ভ হওয়ার আগেই নব-শিল্প-মন্দিরে হাজির হয় ! বেশীক্ষণ থাক বা না থাক কারখানায় সে প্রতিদিন একবার যায়। কৈলাসের বেলা বলা যায় যে সে শহরে থাকে বেশী, গায়ে থাকে কম । কিন্তু, প্রাণের টানটা তার গায়ের দিকেই বেশী এবং সেটা কেবল লক্ষ্মীর টান নয়। শুভ ও উভচরে পরিণত হয়েছে। শহর-গায়ের । তার বেলাতেও বলা যায়। যে নব-শিল্প মন্দিরের ফঁাদে আটকে থাকতে হলেও প্রাণের টানটা তার শহরের দিকে এবং সেটা কেবল মায়ার টান নয় । Rd br