পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন স্থির করে দৃঢ়পদে সে এগিয়ে যায়। হোক গোয়াতুমি, কাছে গিয়ে সে, স্পষ্টভাবে শুনবে কি বলা হয় জগদীশের নামে। নন্দ বা অন্যের কাছে সভার বিবরণ সে জানতে পারবে-কিন্তু ঠিক কি ভাষায় কি ভাবে লোকে জগদীশের সমালোচনা করছে সেটা তাকে কেউ জানাবে না । এগিয়ে গিয়ে সভার প্রান্তে দাড়াতে দাড়াতে বক্তৃতার কথা থেকে সে টের পায় সে সভাটা জগদীশের বিরুদ্ধে নয়। জোর করে কমদামে ধান সীজ করার প্রতিবাদে সভা ডাকা হয়েছে। শুভকে চিনতে পারায় সভার প্রান্তে একটু চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। একটু পরেই মঞ্চ থেকে নন্দ তার কাছ এগিয়ে আসে ; বলে, তুমি এ সভায় থেক না শুভ। শুভ বলে, সে তো বুঝলাম। কিন্তু ধান সীজের ব্যাপারে বাবাকে জড়ানো হচ্ছে কেন ? তিনি তো এর মধ্যে নেই ! নন্দ বলে, ওদের সুযোগ-সুবিধা করে দিচ্ছেন, চাষীর স্বার্থ দেখছেন না । গোপালের ধান হয় বিশ মণ, ত্রিশ মণ ধরা হল। বলা হল, দশ মণ। লুকিয়ে ফেলেছে। ভূতনাথ জেনেশুনে তাতে সায় দিলে-গোপালের কথা টিকল না । বাবা হয়তো এর কিছুই জানেন না । তুমি বুঝতে পারছি না। নায়েব গোমস্ত কর্মচারী—তারা যাই করুক সেজন্য লোকে জগদীশবাবুকেই দায়ী করবে। এরকম অবশ্য ঘটেছে দু-একবার -আসল যা করার ওরাই করছে, কিন্তু তোমাদের লোক সঙ্গে থাকে। এটা তো। দেখছে সবাই। বলতে বলতে হয়তো জগদীশবাবুর নামে কিছু বলে বসবে। তোমার না থাকাই ভালো । শুভ গম্ভীর মুখে বলে, আমি বলব-নরেনের পরেই বলব। সেটা কি ভালো হবে ? নিশ্চয় ভালো হবে । শুভকে মঞ্চে উঠতে দেখে সভায় সাড়া পড়ে যায়, একটা কলরব সৃষ্টি হয় । সে বলার জন্য উঠে দাড়ালে কিন্তু একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে যায় চারিদিক । R\, d