এ সভায় তার উপস্থিতি খাপছাড়া বলেই সে কি বলে শোনার জন্য সকলের বিশেষ আগ্রহ হওয়া অবশ্য খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। শুভ বলে যে সে বক্তৃতা করতে দাড়ায়নি, তার শুধু একটি ঘোষণা আছে। তার বাবার বিরুদ্ধে নালিশ তার কানে গিয়েছে। তার বিশ্বাস, তার বাবার কোন কর্মচারী যদি অন্যায় করে থাকে সেটা তার বাবার অজান্তেই ঘটেছে, সভায় গাল না দিয়ে তার বাবাকে জানালেই বোধ হয়। প্রতিকার হত। যাই হোক, চাষীদের স্বার্থ দেখা হবে এ ব্যবস্থা করার ক্ষমতা তার নেই। কিন্তু সে কথা দিচ্ছে তাদের লোকেরা যাতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকে। সে তার ব্যবস্থা করবে। শুভ আশা করেছিল, তার ঘোষণা শুনে সভায় অন্তত একটু সাড়া পড়বে। কিন্তু যেমন চুপ করে সবাই তার কথা শোনে, তার বলা শেষ হবার পরেও তেমনি চুপ করেই থাকে। জমিদার অন্যায় করবে না, এ ঘোষণার কোন মূল্যই যেন তাদের কাছে নেই। শুভ নীরবে সভা-মঞ্চ ছেড়ে যায়। সে স্পষ্টই অনুভব করে যে হাজার আবেগ আর আন্তরিকতা নিয়ে প্রাণপণে চেষ্টা করলেও অন্তত আজ এখন এই মানুষগুলির সঙ্গে আত্মীয়তা জমাতে পারবে না । জগদীশ মাঝখানে এক দুস্তর ব্যবধান সৃষ্টি করে য়েখেছে । বাড়ি পৌছতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। মন্দিরে সন্ধ্যারতির ঢাকঢোল কঁাসিরঘণ্টা প্রচণ্ড শব্দে বাজছিল । শুভরা মনে হয়। এ শব্দ উন্মাদন সৃষ্টির জন্য তোলা হয়। না। দুঃখী কাতর মানুষের নিশ্বাস আর কাতরানিতে অপবিত্র পৃথিবীর বায়ু শুদ্ধ করে নেবার জন্য এত অ্যাওয়াজ দরকার হয় । জগদীশ মন্দিরে ছিল। শুভ বাড়ি ফিরতেই তার কাছে খবর পৌছয়। তার হকুম জারি করা আছে শুভ বাড়ি ফিরলেই তাকে জানাতে হবে। যেখান থেকে যখন বাড়ি ফিরুক । কোষ্ঠী বলে, এ বছর বড় রকম একটা ফঁাড়া আছে শুভর। ফাড়া ঠেকাবার SVS
পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৩৭
অবয়ব