পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়ে ওঠে তার মুখের ভাব। ডাক্তার হয়েও যেন রোগ ধরতে পারেনি এমনি চিন্তিত ও বিব্রতভাবে ভূদেব কথা বলে তাই রক্ষা ! রাগ কোরো না শুভ, সেদিন তোমার কথাবার্তা বুঝতে পারিনি, আজও বুঝতে পারছি না। প্রজারা সভা ডেকে তোমার ব্যাপকে গালমন্দ করছে, তুমি সে সভায় গিয়ে ওকথা বললে তার একটাই তো মানে হয় । সংসারে সবাই সেই মানেটাই করবে। তোমার মনে কি ছিল, তুমি কি ভেবেছিলে, তাতে কি এসে যায় ? ? হাত তুলে যেন মুখে হাত চাপা দিয়েই শুভকে ভূদেব চুপ করিয়ে রাখে। বলে, না শুভ, আমি তর্ক করতে আসিনি। তর্কাতকি বোঝাপড়ার ঢের সময় পাব-আজ রাগারগি হয়ে যাবে ! আমি তোমায় রাগাতে আসিনি, রাগ ভাঙাতেই এসেছি। শুভ ও সায় দিয়ে বলে, সেই ভালো, মিছিমিছি কথা-কাটাকাটি করে লাভ নেই। আমি ঠিক করেছি না করেছি ওসব ঝঞ্চাটে আর যাব না, দু-রকম জীবন টেনে চলা আমার সইবে না। বাবাকে বলবেন, আমি রাগ করিনি, সম্পর্কও তুলে দিচ্ছি না। মাঝে মাঝে গিয়ে দেখা করে আসব ! ভূদেব ভাবে, মাঝে মাঝে গিয়ে দেখা করে আসব ! তার মানেই যেন সম্পর্ক তুলে দেওয়া হল না ! দুপুরে আসে তার মা । সাবিত্রীকে মোটেই উতলা মনে হয় না । বাপ-ছেলেতে বিবাদ হয়েছে, মিটে যাবে। বিশেষত জগদীশ নিজেই যখন উঠে পড়ে লেগেছে মিটমাটের জন্য । বলে, ওঁকে জানাসিনি যেন আমি এসেছি । আসতে বারণ করে দিয়েছে আমায়। আমি এলে নাকি তুই চটে যাবি ! কী যে বুদ্ধি হয়েছে भांश्षiद्र ! সাবিত্রীর কপালে তেলসি দুরের ফোটা, পরনে গরদ, পায়ে চটি আছে। কালীঘাটে যাব বলে বেরোলাম তোকে দেখতে । মিছে কথা বলব কেন R88