পাতা:ঈশদূত-যীশুখ্রীষ্ট - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দূত যীশুখ্ৰীষ্ট একমাত্র পথ—তিনি মুক্তির আর কোন পথ প্রদর্শন করেন নাই । আমরা যেন দন্তে তৃণ লইয়। বিনীতভাবে স্বীকার করি যে, আমাদের এইরূপ ত্যাগবৈরাগ্যের শক্তি নাই। আমাদের এখনও "আমি" ও 'আমার’—ইহাদের উপব ঘোর আসক্তি বর্তমান । আমব৷ ধন ঐশ্বৰ্ষ্য বিষয়—এই সব চাই । আমাদিগকে ধিক্—আমরা যেন আমাদের দুৰ্ব্বলতা স্বীকার করি, কিন্তু যীশুখ্ৰীষ্টকে অন্তরূপে বর্ণনা করিয়৷ মানবজাতির এই মহান আচাৰ্য্যকে লোকচক্ষে হীন প্রতিপন্ন করা কোনক্রমেই কৰ্ত্তব্য নহে। তাহার পারিবারিক বন্ধন কিছু ছিল না । আপনার কি মনে করেন, এই ব্যক্তির ভিতর কোন সাংসাবিক ভাব ছিল ? আপনার কি ভাবেন, জ্ঞানজ্যোতির পরম আধাবস্বরূপ, এই অমানব স্বয়ং ঈশ্বর জগতে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন পশুজাতির সমধৰ্ম্মী হইবাল জন্য ? তথাপি লোকে তাহার উপদেশ বলিয়। না। তা প্রচার কবিয়া থাকে । তাহার স্ট্রীপুরুষ ভেদজ্ঞান ছিল ন—তিনি আপনাকে লিঙ্গোপাধিরস্থিত আত্মা বলিয়া জানিতেন । তিনি জানিতেন, তিনি শুদ্ধ আত্মাস্বরূপ—কেবল দেহে অবস্থিত গুইয়া মানবজাতির কল্যাণের জন্ত দেহকে পরিচালন করিতেছেন মাত্ৰ— দেহের সঙ্গে তাঙ্গর শুধু ঐটুকুমাত্র সম্পর্ক ছিল। আত্মাতে কোনরূপ লিঙ্গভেদ নাই । বিদেহ আত্মীর পাশব ভাবের সহিত কোন সম্বন্ধ নাই—দেচের সহিত কোন সম্বন্ধ নাই | অবগু এইরূপ ত্যাগের ভাব ইষ্টতে আমরা এখন বহুদূরে অবস্থিত হইতে পারি, হইলামই ব)- কিন্তু আমাদের আদশটিকে বিস্তৃত হওয়া উচিত নয় । আমরা যেন স্পষ্ট স্বীকার করি যে, ত্যাগই আমাদের আদর্শ, কিন্তু আমরা ঐ আদশের নিকট পহুছিতে এখনও অক্ষম । }(t