«$ ঈশাচরিতামৃত। প্রভুর আসিতে বিলম্ব আছে মনে করিয়া যদি সে আর সকল দ্বাস দাসীকে ‘ প্রহার করে, এবং পান ভোজনে মত্ত হয়, আর সেই সময় হঠাৎ তাহার প্রভু আসিয়া পড়েন, ভাহা হইলে কি হয় । তিনি সেই ভূত্যকে কাটিয়৷ খণ্ড খণ্ড করেন, তাহার কার্ষ্য অন্য অবিশ্বাসী ভূত্যের হস্তে দেন। প্রভুর ইচ্ছা জানিয়াও যে ব্যক্তি তাহাতে অবহেলা করে সে বহু বেত্ৰাঘাত্ত পাইবে । কিন্তু যে না জানিয়। অপরাধী হয় সে অল্প দওহে। যাহাকে অনেক দেওয়া হইয়াছে তাহার নিকট হষ্টতে অমেক লওয়৷ হইবে” । শিষ্যদিগকে অসতর্ক জানিয়া পুনরায় বলিলেন, “তোমরা কি মনে কর আমি জগতে শান্তি স্থাপন করিতে আসিয়াছি ? শাস্তি নয়, খড়গ ! যে পরিবারে পাঁচ জন লোক অাছে এখন হইতে তাহীদের মধ্যে তিন জন জুই জনের বিরোধী হইবে । পশ্চিমদিকে মেঘ দেখিলে তৎক্ষণ,ৎ তোমরা বল যে বৃষ্টি আসিবে, এবং তাহাই ঘটিয়া থাকে। দক্ষিণ বায়ু বহিলে তোমরা বল যে গ্রীষ্ম হইবে, এবং তাহাই হর । তোমরা আকাশের বিষয় এত বুঝিতে পায়, কিন্তু সময়ের লক্ষণ দেখিয় তাহার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করিতে পার না ? “স্বৰ্গরাজ্য দশটি কুমারীর ন্যায়। কুমারীগণ প্রদীপ লইয়া বরকে বরণ করিবার জন্য কন্যার গৃহে প্রতীক্ষা করিতেছিল। উহাদের মধ্যে পাঁচটি চতুর, পাঁচটি বুদ্ধিহীন বুদ্ধিহীন কুমারীগণ সঙ্গে পলিভ। লইয়াছিল, কিন্তু তৈল লয় নাই। চতুর কয়েক জন ভৈল এবং পলিতা উভয়ই সঙ্গে রাখিয়াছিল । বর আসিতে বিলম্ব হওয়ায় সকলেই নিদ্র। যাইতেছে, এমন সময় রাত্রি দুই প্রহরের কালে কোলাহল উঠিল যে, বর আসিতেছে, তোমর তাহাকে বরণ করিবার জন্য অগ্রসর হও । কোলাহল শ্রবণে কুমারীগণ সত্বর হইয়া স্ব স্ব দীপ উজ্জল করিতে লাগিল। তখন বুদ্ধিহীন পাঁচ জন চতুরাদিগকে বলিল, আমাদিগকে একটু তৈল তোমরা দাও, নতুব। আমাদের প্রদীপ থাকে না । তাহার। উত্তর দিল যে না, তাহা হইতে পারে না । যে তৈল আমাদের আছে তাহাতে উভয়ের কুলাইৰে না ; তোমরা দোকান হইতে তৈল কিনিয়া আন । যাই উহারা তৈল ক্রয় করিতে বাহিরে গেল অমনি বর আসিয়া উপস্থিত হুইল । যাহার প্রস্তুত ছিল
পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/৭১
অবয়ব