পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানতাম। আজ দেখলাম আছে গো, আছে। ওরে, জিনিসগুলো নাম৷ ” এই বলিয়া দ্রব্যাদি নামাইয়া বারান্দায় রাখিতে লাগিল । সমস্ত জিনিস নামাইয়া, কুলী বিদায় করিয়া রমেশ বলিল, “ঠাকুর মশাই, হিসাবটা ঠিক করে নিন। মােঠাকরুণ, দেখুন, কিছু আনতে ভুল ত হয় নাই। আমি এই হিসাব বুঝিয়ে দিয়েই একবার ঘাট । বাড়ীতে কত কাজ পড়ে আছে। তারপর আবার একবার আসব এখন মােঠাকরুণ। তখন, যদি কিছু আরও আনবার দরকার থাকে, এনে দিয়ে যাব। ঠাকুর মশাই, এই ধরুন, তিনসের আতব চা’ল ; এই দশ পয়সা করে সেরা হ’লে, হোলো 5ft,3-” তাহার হিসাবে বাধা দিয়া লক্ষ্মী বলিল,“তোমাকে হিসেব দিতে হবে না। যা পয়সা বেচেছে, তাই মার হাতে দিয়ে যাও, আর যদি বেশী খরচ হয়ে থাকে, তাই বল ; অত ‘হোলো গিয়ে—’র দরকার হবে না। ” রমেশ বলিল, “মােঠাকরুণ, তাই বুঝি দিদি ঠাকরুণের নাম ন্মো রেখেছেন মা ! দশ বছর বয়স থেকে এই কাশীতে চাকরী করছি, আর আজ এই পঞ্চাশ বছর বয়স হোলো, এমন লক্ষ্মী ত কোন দিন দেখিনি মাঠকরুণ ! আরও না হয় ত, দশ বারটা বাঙ্গালী বাবুর বাড়ী চাকরী করেছি।” বড় কণ্ঠা বলিলেন “রমেশ, আমরা যে বাবু নই ; আমরা গরিব বাহ্মণ ।” à 0)