পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না কাকা মশাই! আমি অতি সামান্য মানুষ । এই দেখ দিদি লক্ষ্মী, তুমি যে সিধু সিধু করছিলে, তোমার সিধু এসেছে।” সিধুকে দেখিয়া লক্ষ্মী বলিল, “সিধু, তোমার কথা কতবার বঁলেছি। রমেশ দাদা বলল, তাকে কি খুজে পাওয়া যায়, সে কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।” সিধু বলিল, “তা দিদি, ঘুরে ত বেড়াতেই হয়-ভিক্ষে ত চাই। গাজা সিদ্ধি খাই-ও একটা নেশা ; ছাড়তে পারিনে ; কিন্তু দেখ, এই মিষ্টি কথার নেশা ও-সব নেশার চাইতে বড়-একেবারে নেশার রাজা ! তোমার কাছে মিষ্টি কথা পেয়েছি, দিন গেলে একবার সে নেশা না করলে কি চলে, কি বল রমেশ দা !” व्याक्षी বলিল, “তা বেশ, তুমি একখানা পাতা নিয়ে বোসো সিধু ! আমার কাকা এসেছেন, উনি তোমাকে পেট ভরে খাওয়াবেন। কাকা, সেই রাত্রে এই সিধু আমাদের এখানে পাহারা দিয়েছিল । সারা রাত বসে ছিল ।” সিধু বলিল, “সিধু ত প্ৰথমে গাঁজার লোভেই এসেছিল, বুঝলেন ঠাকুর মশাই ; কিন্তু তারপর বল দেখি ঠাকরুণ, কিসের লোভে রোজ একবার করে আসি । ঐ যে বলেছি মিষ্টি কথার নেশায়। পয়সা সবাই দিতে পারে ;-মিষ্টি কথা, বুঝলে, ওটী দেবার লোক বড় বেশী নেই।” । । তাহার পর সিধুকে পেট ভরিয়া খাওয়াইয়া হরেকৃষ্ণ তাহাকে একটা টাকা দিলেন। সিধু বলিল, “টাকা কি হবে ঠাকুর মশাই, গাজার পয়সা আজ আছে।” እ (ድ እ