পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি কাউকে দেই নি, দেবও না। টাকা আছে, খরচ করছি, ব্যাস !” লক্ষ্মী বলিল, “কাকা, বুঝেছি কথাটা । রমেশ দা, নিজের “টীকা খরচ করছে ।” রমেশ বলিল, “শুনলেন কাকাবাবু, টাকা আবার কারো যেন নিজের হয় । টাকা কারো না ; সে কারো ধার ধারে না,--টাকা টাকার । যাকগে, এখন একটু বসি। এই চিড়েমুড়কীগুলো এলে ওদের বিদেয় করতে পারলেই হয়।” কিছুক্ষণ পরেই কাঙ্গালী-বিদায় হইয়া গেল। প্ৰায় একশত কাঙ্গালী আসিয়াছিল । সন্ধ্যার সময় লক্ষ্মী ও ছোটবধু পাক করিতে গেলে না। তখন হরেকৃষ্ণ বলিলেন, “রমেশ, যা শুনলাম, তাতে ত তুমি আমাদের ছেলের ও বেশী । তোমার ধারা আমরা জীবনেও শোধ করতে পারব না । তারপর, দাদা আর বড়-বীে কেন এখানে এসেছিলেন, সে সবই তুমি শুনেছি, সবই তুমি জান। এখন কৰ্ত্তব্য কি ?” রমেশ বলিল, “আপনি কি ভেবেছেন, তাই বলুন।” হরেকৃষ্ণ বলিলেন, “আমি স্থির করলাম, তোমরা এখানে থাক, আমি একেলা একবার বাড়ী যাই । সেখানে যা কিছু আছে, বেচে-কিনে, শিষ্য যজমানদের কাছে চিরবিদায় নিয়ে আমি চলে আসব। তারপর যে কয়দিন বঁচি, লক্ষ্মীকে বুকে করে কাশীতে কাটিয়ে দেব। দেশে আর যাব না ; 9 GNO