পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে তোর ভার নেবে। তার সাধ্য কি ! যাক, ও সব কিছু ভেব না; এখন দোরটা বন্ধ করে দেও ; আমি একটু ঘুরে আসি।” এই বলিয়া রমেশ দ্বার খুলিয়া বাহিরে গেল ; এবং যখন দেখিল, দ্বার বন্ধ হইল, তখন দুৰ্গাবাড়ীর দিকে bविजव्ल । ব্ৰহ্মচারিণী যে মন্দিরে বাস করেন, তাহার নিকটে যাইতেই রমেশ দেখিল, মন্দিরের বাহিরে অপ্ৰশস্ত চাতালে বৃদ্ধ সন্ন্যাসী ও ব্ৰহ্মচারিণী বসিয়া আছেন । রমেশ মনে করিল, এ সময় যাইয়া কাজ নাই, ফিরিয়া যাই ; আর এক সময় আসিব । পরীক্ষণেই মনে করিল, না, যখন আসিয়াছি, তখন আর ফিরিব न ; ८२ दरुद्रिब्रांशे शांद्रे । রমেশ ধীরে-ধীরে সেই চাতালের পাশ্বে গিয়া দাড়াইল ; -সে এতকাল কাহাকে ও প্ৰণাম করে নাই,-ঠাকুর-দেবতাকে ও না, মানুষকে ত নয়-ই । সে প্ৰণাম করিল না । সে শুনিতে পাইল, বৃদ্ধ সন্ন্যাস্য ব্ৰহ্মচারিণীকে বলিতেছেন— “দেখ মা, সেবাধৰ্ম্মই শ্রেষ্ঠ-ধৰ্ম্ম । তোমাকে যে এই দ্বাদশ বৎসর এত শিক্ষা দিলাম, তা এই সেবাধৰ্ম্মে দীক্ষিত করবার জছ । তাই আজ এসেছি,-সে সুযোগ ও উপস্থিত ।” ব্ৰহ্মচারিণীর দৃষ্টি এইবার রমেশের দিকে পড়িল । তিনি সহানুভবদনে বলিলেন, “রমেশ, অনেকদিন তুমি এ দিকে এসনি।” রমেশ বলিল, “অনেকদিনই আসতে পারি নি। আজ একটু বিপদে পড়েই এসেছি।” > とのケ