পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ন্যাসী বলিলেন “আমারই আত্মীয়া ।” ভুবন বাবুর স্ত্রী বলিলেন, “আপনার আত্মীয়া । তাহা হইলে ঈশানী নামে যে মেয়েটার প্রশংসা বিশ্বনাথ সৰ্ব্বদা করে, তাহারই কথা বলিতেছেন । সেই তা আপনার আত্মীয়া ।” সন্ন্যাসী বলিলেন, “হা, সেই মেয়েই বটে। বিশ্বনাথের সহিত তাহার বিবাহ দিব বলিয়াই আমি তাহাকে তোমার পুত্রবধু হইবার উপযুক্ত শিক্ষা দিয়াছি।” ভূবন বাবুর স্ত্রী বলিলেন, “বিশ্বনাথের কাছে আমি মেয়েটার প্ৰশংসা খুব শুনেছি। সে ত শ্ৰীমতী সরস্বতী দেবীর কন্যা । সরস্বতী দেবী যে আমার বাপের বাড়ীর গ্রামের চাটুয্যেদের পুত্ৰবধু । অল্প বয়সে বিধবা হওয়ায় কাশীতে এসে বাস করছিলেন । তার মত মায়ের মেয়ে যে ভাল হবে, তার আর আশ্চৰ্য্য কি । চাটুয্যেরা খুব বড় ঘর ; বিষয়-সম্পত্তি ও অনেক ।” সন্ন্যাসী বলিলেন, “মা, এখানে তুমি একটু ভুল করলে। সরস্বতী ঈশানীর মা নয় ; মেয়েটকে লালন-পালন করবার ভার আমিই সরস্বতীর উপর দিয়েছিলাম ; সকলেই জানে, এমন কি ঈশানী ও জানে, সে সরস্বতীর মেয়ে ।” ভুবন বাবু বলিলেন, “আমিও ঐ রকমই শুনেছিলাম।” সন্ন্যাসী বলিলেন, “না ভুবন, ঈশানী সরস্বতীর মেয়ে নয়, লক্ষ্মীর মেয়ে ।” ভুবন বাবু বলিলেন, “ব.লন কি প্ৰভু ! লক্ষ্মী দেবীর মেয়ে ! এ কথা ত জানতাম না। লক্ষ্মী দেবী ত মানুষ নন-সত্যসত্যই >レベ