পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হৃদয়ে ভবিতব্যের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করিয়া বসিয়া থাকেন ? মনে উঠিতেছে বহুদিন পূর্বের একটা শোচনীয় দৃশ্য। তখন "এই ষাট বৎসরের বৃদ্ধ লেখক কুড়ি-একুশ বৎসরের নবীন যুবক। এত দীর্ঘকালেও সে দৃশ্যের স্মৃতি লুপ্ত হয় নাই। সেই সময় ফরিদপুর জেলার একটী ক্ষুদ্র গ্রামে একদিন একটা বিবাহ-সভায়-কথাটা ঠিক হইল না-কুমারী-বলিদান-সভায় দুৰ্ভাগ্যবশতঃ উপস্থিত ছিলাম। একটা অশীতিপর বৃদ্ধ বরের আসনে উপবিষ্ট । আমি ত তেঁাহাকে নিঃসঙ্কোচে গঙ্গাযাত্রার ব্যবস্থা দিতে পারিতাম ; এবং বিশিষ্ট নাড়ী-জ্ঞানসম্পন্ন কবিরাজ মহাশয়ও আমার ব্যবস্থার ত্রুটি ধরিতে পারিতেন না। ৮ সেই বৃদ্ধের সহিত বিবাহ দিয়া কুমারী নাম ঘুচাইবার জন্য ৬০ বৎসর হইতে আরম্ভ করিয়া অষ্টম বর্ষ বয়স্ক দশটা কি এগারটী কুমারীকে সভাস্থ করা হইয়াছে। বাদ্যভাণ্ড নাই, শঙ্খধ্বনি নাই—কেবল রমণী-কণ্ঠের গভীর আৰ্ত্তিনাদে পল্লীর গগন-পবন আকুল হইতেছিল ! এখনও—এতকাল পরেও-যখনই সেই দৃশ্যের কথা মনে হয়, তখনই সেই হৃদয়ভেদী আৰ্ত্তনাদ, সেই অস্থিচূর্ণকারী হাহাকার ধ্বনি শুনিতে পাই! ভগবানকে প্ৰণাম করি, এখন এমন শোচনীয় কাণ্ডের কথা বড়-একটা শুনিতে পাওয়া যায় না। তবে একেবারেই এ কৌলীন্য লোপ পায় নাই ;-লোপ পাইলে বৰ্ত্তমান কাহিনী লিখিবার প্রয়োজন হইত না । এক কথা বলিতে বসিয়া আর এক কথা আসিয়া NVS).