পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একেবারে কিছু ঔষধ না দেওয়াও—তাই ত কি করা যায়।- যাক, এক কাজ কর। আমি সাত দিনের মত মকরধ্বজ দিয়া যাইতেছি ; সুধু মধু অনুপান দিয়া প্রত্যহ প্ৰাতঃকালে একটু করিয়া দিও ; তাতে শরীরে রক্তসঞ্চার হইবে, দুর্বলতাও হয় ত দূর হইতে পারে। আপাততঃ এই রকমই চলুক। কি বল ?” সাত দিন গেল ; মকরধ্বজ ব্যবহারে কোন উপকারই দেখা গেল না, লক্ষ্মীর দুর্বলতা কমিল না। হরেকৃষ্ণ পুনরায় মণি কবিরাজ মশাইয়ের নিকট গেলেন । কবিরাজ মহাশয় বলিলেন, “হরেকৃষ্ণ, রোগই নির্ণয় করিতে পারিলাম না, ঔষধ কি দেব। বৃথা ঔষধ দেওয়া আমাদের শাস্ত্রের নিষেধ। রোগ বুঝিতে না। পারিয়া আন্দাজী ঔষধ দিলে যদি বিপরীত ফল হয়, তাহা হইলে রোগীর মৃত্যুর জন্য চিকিৎসক পাপগ্ৰস্ত হইয়া থাকেন। আমি জানিয়া শুনিয়া এমন পাপের কাৰ্য্য। আর এ বয়সে করিতে পারিব না । তবে এই কথা বলিতে পারি যে, লক্ষ্মীর যে রোগই হইয়া থাকুক, তাহা সাংঘাতিক নহে ; সুতরাং তোমরা চিন্তিত হইও না। কিছুদিন দেখাই যাক না, অন্য কোন লক্ষণ প্ৰকাশ পায় কি না । তখন হয় ত রোগ স্থির করিলেও করা যাইতে পারে। আপাততঃ কিছুদিন কোন ঔষধই দিয়া কাজ নাই।” তাহাই হইল। লক্ষ্মীর অবস্থা একই ভাবে রহিল, কোন উন্নতিও হইল না, বিশেষ অবনতিও তেমন দেখা গেল না । এই ভাবে চারি মাস অতীত হইল। লক্ষ্মীর মা এই চারি মাস পরে কিন্তু রোগ ধরিতে পারিলেন । তিনি মাথায় হাত দিয়া \DJ