পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t কেব। আর পায় দেখা, এলে এক ধাৰে এক, পুনৰ্ব্বার নাহি আর আসা। রাজনীতি । অনুগত রাজা যত, অধীনেতে রয়। তাদের বিষয়ে যেন, লোভ নাছি হয় ॥ করুণ-তরুর তলে, বাস করে যারা । নিতান্ত আশ্রিত অতি, নিরুপায় তারা ॥ ইঙ্গিত করিলে যারা, উঠে আর বসে। নত হয়ে সন্ধি করি, সদা আছে বশে । তাদের নিগ্রহ করা উচিত কি হয়। রাজধৰ্ম্ম নয়, সেতে, রাজধৰ্ম্ম নয়। রাজা হয়ে এরূপ, অন্তায় যেই করে। ভবের ভাণ্ডার তার, অপযশে ভরে । রাজ-ৰল, বড় বল, তুল্য যার নাই। শাস্ত্রবল, শস্ত্রবল, দুই বল চাই ॥ ক্ষিতিপতি হইবেন, পণ্ডিত-মণ্ডিত। করিবেন সুমন্ত্রণা মন্ত্রীর সহিত ৷ মন্ত্রী হবে ধৰ্ম্মশীল, সাধু সুভাজন। মন্ত্রণা করিবে দান, ধৰ্ম্মে রেখে মন । সভাসদ কুলীন পণ্ডিতগণ যত। সেইমতে সকলে দিবেন অভিমত | তবে করিবেন রাজা সে মত চলিত। রাজা প্রজা উভয়ের হবে তায় হিত ॥ অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টি শুকো আর হাজ । এ সকল বিবেচনা করিবেন রাজ ৷ মেবার যেমন হবে শস্তের সঞ্চার। সেবার লবেন কর সেরূপ প্রকার। চাষাব আশার ধন না ফলিলে ক্ষেতে। কেমনে রাজস্ব দিবে নাহি পায় খেতে ? কর নেয়া বিধি হয় এরূপ iিধানে। চাষা আর ভূমিস্বামী যাহে বঁাচে প্রাণে ॥ কর পেতে কর পেতে থাকুন ভূপাল। সেনক না হয় যেন বিষম বিশাল ॥ tశిf vঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী । পাইতে বিলম্ব হলে কররূপ নিধি । প্রচার না হয় যেন রবি অন্ত বিধি ॥ ङ्गशेख्न कूर्थश शांप्रु निब्रस्त्रब्र रुग्न ! সেই দিকে নৃপতির নেত্ৰ যেন রয় ॥ ভূমিতে হইলে শস্ত গাছে হলে ফল। নানারূপে হয় তার দেশের মঙ্গল । অভাব থাকে না কিছু দূর হয় দুখ । সকলি সুলভ হয় কত তায় মুখ ॥ রাজার রাজস্ব-লাভে ব্যাঘাত না হয় । প্রজা ভার কৃষকেরা স্থির হয়ে রয় ॥ বণিক বাণিজ্যে করে বিশেষ ব্যাপার। শ্রমজীবী জনেদের আনন্দ অপার। পরস্পর বিনিময়ে বেড়ে যায় ধন। সে ধনেতে হয় কত কল্যাণ-সাধন ॥ কতজন পেয়ে ধন ধনী হতে চায়। ধনেতেই ধন বাড়ে কৃষীর রূপায় । যে ফসলে কুশলের সীমা নাই আর । খুলে যায় অনেকের ভাগ্যের ভাণ্ডার। স্বদেশের লোক সব বাহু তুলে নাচে। বিনিময়ে পরম্পর কত দেশ বঁাচে ৷ বাণিজ্য-ব্যাপার তায় বেড়ে যায় কত। অনুবাগে সবে হয় পরিশ্রমে রক্ত ॥ রাজ্য হলে ধনশালী অপার কুশল l প্লজার মঙ্গলে হয় রাজার মঙ্গল। কৃষিকাৰ্য্য করি ধার্ঘ্য প্রথমে ভূপতি। পরে করিবেন দৃষ্টি বাণিজ্যের প্রতি ৷ বাণিজ্যবিহীন রাজ্য শোভা নাহি পায়। বৃদ্ধি হলে বাণিজ্যের কত মুখ তায়। যে দেশে বাণিজ্য নাই সে দেশ কি দেশ সে দেশে না হয়.কছু লক্ষ্মীর প্রবেশ ॥ বে দেশেভে বণিকের ব্যবসা না চলে। লক্ষ্মীছাড়া দেশ তারে সকলেই বলে। কতরূপে উপকার একরূপে নয়। , “বাণিজ্যে ৰসতে লক্ষ্মী” শাস্ত্রে এই কা ●