পাতা:উড়িশ্যার ইতিহাস.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ১ তা ] উড়িশ্যার নদী—সুবর্ণরেখ । শাখা প্রশাখা বিরূপ, চিত্তোৎপল, মুনা, কাটজুরী ও ভাগবী এই কয়েকটা এস্থলে উল্লেখের যোগ্য । এই প্রবাহ নিকরের জল, সমুদ্র দূরবর্তী স্থান সকলে অতিস্বচ্ছ, পবিত্র ও স্বাস্থ্যকর, এবং তাহ অতি নিৰ্ম্মল ঈষৎ পাটলবণ বালুকারাশিশয্যার উপর দিয়া প্রখরবেগে সঞ্চালিত হইতেছে । যখন তাহা বর্ষার জলে কর্দমিত ও মলিন না হয়, তখন তথায় অবগাহন করা একটি পবিত্র সুখ বুলিয়া বর্ণনা করা যাইতে পারে । এই সকল নদী বর্ষাকালে বারিপূর্ণ হইয় প্রবলবেগ ও বৰ্দ্ধিভকলেবর হয়, কিন্তু গ্রীষ্মের সময় শুষ্কপ্রায় হইয়। যায় । দক্ষিণাভিমুখে গমন করিতে হইলে উড়িশ্যার বর্তমান উত্তর সীমা সুবর্ণরেখা প্রথমেই নয়নগোচর হয় ; তাহার পর ক্রমে অপর নদী সকল দেখা যায় । সুবর্ণরেখা—একট সুপ্রশস্ত নদী, কিন্তু মহানদীর ন্যায় বিস্তৃত বা নাব্য নয় । কথিত আছে যে, এই নদীরকুলে সুবর্ণ প্রাপ্ত হওয়া যায়, বস্তুত নদীশয্যাস্বরূপ বালুকরোশির মধ্যে অতি সুক্ষম হুক্ষম চাকচাক্যশালী ধাতুকণা দৃষ্ট হয়, তাহা দরিদ্রলোকে আtহরণ করিয়া ধৌত করণানন্তর অগ্নিতে গলাইয়া অত্যম্প সুবর্ণ প্রাপ্ত হয়, কিন্তু তাহাতে পরিশ্রমের উপযুক্ত ফল লাভ করা দুরূহ । পাঁচপাড়া ও সারথা—দুইটি অতি ক্ষুদ্র সরিৎ;