পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যবৰ্ত্তী । ( ভাদোৎসবে বক্তৃতা) রবিবার, ৯ই ভাদ্র, ১৮০১ শক ; ২৪শে আগষ্ট, ১৮৭৯ খৃষ্টাব্দ । জীবাত্মা আর ব্রহ্ম এই দুয়ের কি মিলন হয় ? এবং এই দুয়ের মিলনের পক্ষে কি মধ্যে কাহাকেও আবশ্যক হয় ? ঈশ্বরকে লাভ করিবার জন্য কি মধ্যবৰ্ত্তীর প্রয়োজন ? না কোন মধ্যবৰ্ত্তী ব্যতীত ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষরূপে উপলব্ধি করা যায় ? মধ্যবৰ্ত্ত লইয়া পৃথিবীতে মহাকোলাহল উপস্থিত। পৃথিবীতে যে সভ্যতম ধৰ্ম্মের নিকট ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ক্ষমতা অদ্যাবধি অল্প, সেই ধৰ্ম্ম মধ্যবৰ্ত্তীর প্রয়োজন স্বীকার করে ; কিন্তু ব্রাহ্মধৰ্ম্ম এই মধ্যবৰ্ত্তী মতের প্রতিবাদ। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম বলেন ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষরূপে জানা যায়, প্রত্যক্ষভাবে তাহার হস্ত হইতে জ্ঞান, পুণ্য, প্রেম লাভ করা যায়। এই সত্য প্রতিষ্ঠিত করা, ব্রাহ্মসমাজের কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য। কিন্তু তাহা বলিয়া কি মানুষ একবারে পূর্ণব্ৰহ্মকে জানে ? যাহাকে জানিবার জন্য কত শত সাধু নানা প্রকার যোগ তপস্যা করিলেন। “আমি ব্রহ্মকে যে না জানি এমনও নহে, জানি যে এমনও নহে” র্যাহার সম্পর্কে প্রাচীন উপনিষৎ এই কথা বলিতেছেন, আমাদের ন্যায় সামান্ত লোক এক মুহূর্তের মধ্যে কিরূপে তাহার সমস্ত তত্ত্ব জানিবে ? সমুদয় বিষয়েই সাধন আবশ্যক। যেমন অঙ্ক, বিজ্ঞান প্রভৃতি শিখিতে হয়, তেমনি ব্রহ্ম-বিদ্যা শিখিতে হয়। অন্ত জ্ঞান লাভ করিতে হইলে যেমন উপযুক্ত পরিশ্রম এবং শক্তি চালনা প্রয়োজন, তেমনি ব্ৰহ্মতত্ত্ব লাভ করিবার জন্ত উপযুক্ত সাধন আবশুক ।