শক্তিচক্র । (ব্রহ্মবিদ্যালয়ে বক্তৃত ) শনিবার, ২০শে ভাদ্র, ১৮০২ শক ; ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ১৮৮০ খৃষ্টাব্দ । বিশ্বস্বষ্টি একখানি দুইচক্রযুক্ত রথস্বরূপ । এই চক্রদ্বরকে যদি চিন্তাপটে চিত্রিত করা যায়, তাহা হইলে স্থষ্টির গতি ও গৃঢ়তত্ত্ব অনুভূত হয়। প্রথম চক্রের মধ্যে সমুদয় প্রকার নৈসর্গিক জড়শক্তি সন্নিবিষ্ট আছে। আকর্ষণ, বিকর্ষণ, তাপ, তাড়িত, রসায়নশক্তি, জীবনীশক্তি, এই সমস্তকে সমষ্টি করিয়া উক্ত রথ চক্রটি রচিত হইয়াছে ; অর্থাৎ জড় জগতের তাবৎ ঘটনা, কাৰ্য্য কারণ নিয়ম শৃঙ্খলা, জন্ম, মৃত্যু, উন্নতি বিকৃতি, হ্রাস বৃদ্ধির ভিতরে যে সকল শক্তির প্রকাশ দৃষ্টিগোচর হয়, সেই গুলিকে একত্র করিয়া একটি প্রকাণ্ড চক্ররূপে বর্ণনা করা হইতেছে। এই শক্তিচক্রকে কি পৃথিবী অতিক্রম করিতে পারে ? এই শক্তির সাহায্য না লইয়া কি কোন পদার্থের সৃষ্টি, কোন জীবের জীবন সম্ভব হয় ? সংসারে এমন কোন বস্তু কি দেখা যায়, যাহার মধ্যে এই সকল শক্তির কোন না কোনটী নিয়ত কাৰ্য্য করিতেছে না ? বিশ্বস্তৃষ্টি বিচিত্র শক্তিময়। শক্তিচক্রকে অবলম্বন করিয়া সংসার ক্রমাগত কাল-ক্ষেত্রে ঘূর্ণায়মান রহিয়াছে। এই শক্তি কি বিস্ময়কর ! সমুদয় পদার্থের আরম্ভ এবং নাশ আছে। শক্তির আদি অন্ত কোথায় ? কত কত জাতি সংসার-রঙ্গভূমিতে অবতরণ করিল, অভিনয় শেষ করিয়া কিছু কালের মধ্যেই বুদ্ধদের স্তায় অদৃষ্ট সাগরে মিশাইয়া গেল। কত পৰ্ব্বত সমভূমি হইল, কত সাগর শুষ্ক হইল, কত কত দ্বীপ সাগর মধ্যে মগ্ন Ç