পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম ও নীতি 求登 আলোচনায় ঋষিদিগের সম্বন্ধে ইহার অনেক প্রমাণ পাওয়া যায়। সংসার ছাড়িয়া ধৰ্ম্ম সাধনা স্বাভাবিক নয়, সংসারে থাকিয়াই পাপ প্রলোভনকে পরাজয় করিতে হইবে । পাপকে পরাস্ত আমরা কাহার বলে করিব ? নিজের বলে ? না, নিজে অতি দুৰ্ব্বল। ঈশ্বরের সাহায্যে। অন্তরে দেবভাব, অস্থরভাব হুই ভাব আছে । ভক্তি বিশ্বাস প্রভৃতি যে সকল ভাব মনুষ্যকে স্বগীয় জীবন দান করে, তাহাকে দেবভাব, কাম ক্রোধ প্রভৃতি যে সকল ভাব নীচ সংসারাসক্ত, পাপাসক্ত করিয়া তোলে, তাহাকে অস্থরভাব বলা যায় । অস্থরভাব দেবভাবের বিরোধী । অন্তরে সর্বদা দেবাসুরের সংগ্রাম হইতেছে । পুরাণে দেবাস্থরের যুদ্ধের বর্ণনা অনেকে শুনিয়াছেন, কিন্তু প্রত্যেক ব্যক্তির অন্তরেই যে দেবাস্থরের যুদ্ধ, তাহ অনেকে দেখেন না । পুরাণোক্ত দেবতাদিগের সহায় হরি ছিলেন, অন্তরের সেই দেবতাদিগের সহায় স্বয়ং ঈশ্বর । পুরাণোক্ত অস্থরগণ আক্রমণ করিয়া দেবতাদিগকে বারস্বার বিড়ম্বিত করিলেও পরে তাহাদিগকে পরাস্ত হইতে হইয়াছিল, অন্তররাজ্যের অস্থরদিগকেও পরাজয় স্বীকার করিতে হইবে। যে পর্য্যন্ত তাহারা হীনবল ও অধীন না হয়, বারম্বার অন্তররাজ্যের শান্তি ভঙ্গ করিবে, দেবতাদিগকে বিড়ম্বিত করিবে। পলাইয়াও কাহার