পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরোহিত্য । সায়ংকাল, রবিবার, ১০ই ভাদ্র, ১৮০০ শক ; ২৫শে আগষ্ট, ১৮৭৮ খৃষ্টাব্দ। হে ব্রাহ্ম, তুমি পুরোহিত, ব্রান্ধিক, তুমি পুরোহিত। পৌরোহিত্য অবলম্বন কর। কার গৃহের, কোন পুরের পুরোহিত ? ঈশ্বরের প্রেমপুরের পুরোহিত । পুরের হিতসাধন করা, পৌরোহিত্য করা তোমার ধৰ্ম্ম, ইহা যদি ভুল, তুমি ধৰ্ম্মভ্রষ্ট হইবে। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম পৃথিবীতে আসিতেন না, যদি পৌরোহিত্যের প্রয়োজন না থাকিত। ধৰ্ম্মই হইল পুরোহিতের কাৰ্য্য । পুরোহিতের কার্য্য কি ? পুরোহিত গৃহে পূজা করেন, দেবা, চনার ভার গ্রহণ করেন। ব্রান্ধের কার্য্য কি ? জগতে পূজা করা, পূজা প্রচার করা, পূজাতে আনন্দিত হওয়া, যেখানে পূজার আহবান সেখানে গমন করা। পৃথিবীতে সত্য পূজার অভাব হইয়াছে। কুপূজ বিনাশ করিয়া সুপূজা প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য পৃথিবীতে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম আসিয়াছেন। পৃথিবীতে অনেক প্রকার পূজা-প্রণালী প্রচলিত আছে। কি হিন্দু, কি মুসলমান, কি খৃষ্টান, কি শিক্দিগের পূজার ঘটা দেখিলে ব্রাহ্মদিগকে নিশ্চয়ই লজ্জিত হইতে হয়। একদিনের উৎসবে আমরা ক্লান্ত হই, কিন্তু অমৃতসর গুরুদরবারে গিয়া দেখ, সেখানে শত শত লোক নিত্য উৎসব করিতেছে। প্রাতঃকাল হইতে রাত্রি দ্বিপ্রহর পর্য্যন্ত সেখানে বিশ্রাম নাই। নানা প্রণালীতে পূজা হইতেছে ; কিন্তু সেই পূজার ভিতরে প্রাণময় ঈশ্বরের উপস্থিতি কোথায় ? পূজার প্রাণ কোথায় ? প্রাণময় ঈশ্বরের পূজা প্রচার করা ব্রাহ্মধৰ্ম্মের নিয়তি। পৃথিবীর সৌভাগ্য যে,