পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gf D YR উপনিষদের উপদেশ । সূৰ্য্যের প্রকাশ হইল, এবং ( জলও ঘনীভূত হইতে হইতে ) রেণুৱাশি (পৃথিবীর অণু) প্রাদুর্ভূত হইল। এই প্রকারে অদিতির দেহ হইতে অদিতির আটটি পুত্ৰ ( দেবতা ) উৎপন্ন হইল । দেবতাদের উৎপত্তির এই বিবরণ হইতে আমরা বুঝিতে পারিতেছি যে, দেবতারা সকলেই “মনুর” ફર્નનો cगोलिक संठिन्- বল-স্বরূপ, শক্তি-স্বরূপ ।। ৮৩ এবং কেই সুচিত করে। ৮৪ সূক্ত দেখিলেও এই তত্ত্ব অনিবাৰ্য্যরূপে হৃদয়ঙ্গম হয়। এই দুই সূক্তে আমরা ‘মনু্যর বর্ণনা দেখিতে পাই। আমরা আজকাল, ‘মনু” শব্দ দ্বারা ক্ৰোধ নামক মানসিক বৃত্তি বা বলকেই বুঝিয়া থাকি। কিন্তু ঋগ্বেদে “মনু” শব্দটী ভিন্নার্থে ব্যবহৃত হইয়াছে। বিশ্ব-ব্যাপক ওজ বা বলের নামই ঋগ্বেদের “মানু্য’ * । দেবতারা সকলেই এই মনু্য বা বল হইতে উৎপন্ন ; দেবতারা এই বলের আশ্রয়েই আচ্ছাদন খুলিয়া দিলেন”। অর্থাৎ সকল দেবতাই-সকল কাৰ্য্য-বৰ্গইঐ Nebulous matter হইতেষ্ট ক্রমে ক্রমে ব্যক্তি হইয়াছে ! এই সকল সুস্পষ্ট অর্থ তলাইয়া না দেখিয়া, ঋগ্বেদের এই সকল মন্ত্রের কত অপ-ব্যাখ্যাই প্ৰচলিত হইয়াছে !!!

  • “সহঃ ওজঃ পুষ্যতি বিশ্বমানুষক...ত্বয়া...সহস্কৃতেন সহসা সহস্বতা” -- মনু, নিজে বল-স্বরূপ, বলদ্বারা নিৰ্ম্মিত এবং বল-বিশিষ্ট - ১০৮৩৷৷১৭৩ সুক্তের দশম মন্ত্রে বলা হইয়াছে যে, ইন্দ্ৰই বলের সর্বপ্রথম অভিব্যক্তি । এই ‘ইন্দ্র” বল হইতে জাত, ‘’মনু’ হইতে উৎপন্ন । *“ওজসোজাতং...মন্যোরিয়ায়” ।