পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবিদ্যা ও বিদ্যা। W ইহঁার দ্বারা সমগ্ৰ বিশ্ব পরিব্যাপ্ত। ইনি যেমন সর্ব-পদার্থে অনুপ্রবিষ্ট, সেইরূপ ইনি জীবের মধ্যেও অনুপ্রবিষ্ট । র্যাহারা সর্বব পদার্থে কেবলমাত্র সেই কারণ-সত্তা বা ব্ৰহ্মসত্তার অনুভব করিতে সমর্থ, তাহারা কি প্রকারে সাংসারিক ধন-জন, মান-ষশের কামনা করিবেন ? কেন না, তাহারা জানেন যে সংসারের ধন-জন ও মান-যশোর প্রকৃত সত্তা নাই ;-ইহারা অসত্য ; ইহারা চঞ্চল ; ইহাদের স্থায়িত্ব নাই ! তাহারা ইহা বুঝিয়াছেন যে, সকল পদার্থের মধ্যে এক কারণ-সত্তা বা ব্ৰহ্ম-সত্তাই অনুপ্রবিষ্ট রহিয়াছেন। এই কারণসত্তাকে তুলিয়া লইলে কোন পদার্থেরই অস্তিত্ব থাকে না। কোন কাৰ্য্যেরই, কারণ-সত্তা হইতে “স্বতন্ত্র সত্তা নাই * । যাহার নিজের সত্তা নাই, তাদৃশ্য বিষয়ের কামনা করা যাইবে কি

  • হার, বলয়, কুণ্ডলে-স্বর্ণেরই সত্তা অনুপ্রবিষ্ট ; ইহাৱা স্বর্ণসত্তারই আকার-বিশেষ, অবস্থান্তর বিশেষ। কিন্তু এই অবস্থান্তর ধারণ করাতেও স্বৰ্ণ-সত্তা ঠিকই আছে, উহার স্বাতন্ত্র্যের হানি হয় নাই। স্বর্ণসত্তাকে তুলিয়া লও, তোমার হারও নাই, বলয়ও নাই, কুণ্ডলও নাই। কিন্তু হার, বলয়, কুণ্ডল ভাঙ্গিয়া ফেল, স্বর্ণসত্তা ঠিক থাকিবে; আর দশটা অলঙ্কার প্রস্তুত কর; স্বর্ণসত্তা তাহাতেও ঠিকই থাকিবে। এ সকল রূপান্তরের মধ্যেও স্বর্ণসত্তা ঠিকই আছে। “কাৰ্য্যাকারোপি কারণস্য আত্মীভূত এব। নাহি বিশেষ-দর্শনমাত্রেন বন্ধন্যত্বং ভবতি. সি এবেতি প্ৰত্যভিজ্ঞানাৎ"-বেদান্তভাষা, ২/১১৮ "...,