পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কঠোপনিষৎ, > x > এবং তাছাদের কার্যাত্মক আধ্যাত্মিক ও আধিদৈবিক সমস্ত স্থল প্রপকে যিনি অঙ্গ বুদ্ধি করেন। প্রত্যেক মাহব যেমন তাহার স্থল শরীরে ‘অঃ' বুদ্ধি করে এবং স্থল দেহের সহিত একীভূত হইয়া আমিই লক্ষে বলিয়া নিজেকে অনুভব করে, সেইরূপ যখন সে বিবেক-বৈরাগ্যবান হইয়া শ্রদ্ধাভক্তির সহিত আত্মস্বরূপ জানিবার জন্য ঐকাস্তিক আগ্রহাম্বিত হইয় উঠে তখন তাঙ্গার আত্মস্বরূপের প্রথম অনুভূতি বৈশ্বনার বা বিরাট পদ লাভ। সমষ্টি স্থল প্রপঞ্চই তাহার দেহ এইরূপ জ্ঞান হয়, তাহার স্থল বাষ্টিদেশের অভিমান, পরিচ্ছিন্নভাব দূর ইয়া যায় ; তখন সে অনুভব করে যে তরঙ্গে জলের জায়, হুবর্ণগরে সুবর্ণের ন্যায় সে সমস্ত স্থলজগৎ ব্যাপিয়া রহিয়াছে সমস্ত স্থলজগৎ তাহারই অঙ্গীভূত, তাহাকে ছাড়িয়া স্থল জগতের কোন পৃথক বাস্তব সত্তা নাই। সেই সাধক তখন বৈস্থানর বা বিরাট বা বিষ্ণু হইয়া যান। সাধন জগতে সাক্ষাৎকার বা বিরাট পদ লাভ বা ‘জানা’ মানে “হওয়া’ । দ্বিতীয় স্তরে এই বিরাট পুরুষ সাধকেরই অপৰ্কীকৃত পঞ্চমহাভূত এবং তাঙ্গদের কাৰ্য্যাত্মক সমষ্টি স্বল্প প্রপঞ্চই আমার দেহ, আমি স্থল স্বল্প সমুদয় জগৎ ব্যাপিয়া রহিয়াছি, স্থল স্বল্প সমুদয় জগৎ আমারই অঙ্গীভূত, মদতিরিক্ত এই জগতের কোন বাস্তব সত্তা নাই, আমিই হিরণ্যগৰ্ভ বা ব্ৰহ্ম এইরূপ অপরোক্ষাৎভূতি হইয়া থাকে। তৃতীয় স্তরে স্থল স্বল্প জগৎপ্ৰপঞ্চে পরিচ্ছিন্ন অহং বুদ্ধি থাকে না। চিন্তু তখন অখণ্ড, চৈতন্যময়ী, আনন্দময়ী অব্যাকৃত শক্তিরূপ ধারণ করে। সাধকের “অহং’ তখন আনন্দে চৈতন্তে অভিমান করে, আমি সচ্চিদানন্দ এইরূপ সাক্ষাৎ অপরোক্ষামুভূতি হইতে থাকে। তখন সেই সাধকের অখণ্ড ও একরস চৈতন্যময়, অপরিচ্ছিন্ন “অহং’ বা চিত্ত কেবল সত্য জ্ঞান অনন্ত আনন্দরপ ব্রহ্ম বা ভূমা বা নিৰ্ব্বিশেষ তত্বকে বিষয় করিতে করিতে পরমানন্দে গলিত হইয়া যায়, কেবল নির্বিশেষ আত্মতত্ত্বই আপন