পাতা:উপবাস - যদুনাথ মজুমদার.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উপবাস।

উপবাসেও মানুষ মরে না। ঘোর দুর্ভিক্ষ-কালে মানুষ উপবাসে মরে বটে, কিন্তু সে ‘মরিব’ এই ভয় প্রথম হইতে হৃদয়ে পোষণ করে বলিয়াই শীঘ্র মরিয়া যায়। সাধারণের পক্ষে এ পরীক্ষার প্রয়োজন নাই। তাঁহারা সপ্তাহে এক দিন, দুই দিন এবং তৎপরে ক্রমে তিন দিন উপবাস করিয়া দেখিবেন। ক্রমশ: নিজেরাই বুঝিতে পরিবেন যে আবশ্যককমত সাময়িক উপবাসই স্বাস্থ্যের মূল। সাধারণতঃ মিতাহারী অর্থাৎ একটু অল্পাহারীই হইবে। শাস্ত্র বলেন—“লঘুশী নাবসীদতি”—লঘু-আহারকারী কখনও অবসাদপ্রাপ্ত হন না। আমিষ-নিরামিষের কথা এখানে কিছু বলিব না। যাঁহারা মৎস্য মাংসাদি পরিত্যাগ করিতে পারেন নাই, তাঁহারা যেন উহা ক্রমে কমাইয়া দেন। তবে নিরামিষই খাও বা অমিষই খাও, যত কম করিয়া পার, খাইবে। সাময়িক উপবাস যেমন স্বাস্থ্যের মূল, দৈনিক অল্প আহারও তদ্রূপ। উপবাসের পর দিন, নিত্য যেরূপ আহার কর, তাহা অপেক্ষাও কম করিবে। আহারান্তেই জল পান করিবে না; অtহারের এক প্রহর বা তিন ঘণ্টার পর জলপান করিবে। অন্ততঃ পক্ষে অৰ্দ্ধপ্রহর বা দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করা অতি আবশ্যক। ঠাণ্ডা ও সর্‌দি আদি লাগিলে, গরম জল খাইবে এবং উহা যত পার, খাইবে; তাহাতে উপকার ভিন্ন অপকার নাই। মানুষের সর্ব্বপ্রকার আহারের মধ্যে দুগ্ধ ও ফলই ভাল। বালক, বৃদ্ধ, যুব, সকলের পক্ষেই ভাল। তন্মধ্যে দুগ্ধ শিশু ও বৃদ্ধের পক্ষে অধিকতর উপযোগী।