পাতা:উপবাস - যদুনাথ মজুমদার.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উপবাস।

 ছোট ছোট বালক-বালিকাদিগকে ও অল্প অল্প উপবাস করাইবে। তবে “খাব খাব” করিয়া বিরক্ত করিলে, একটু একটু দুগ্ধ দিবে। ক্রমে তাহারা ইচ্ছাপূর্ব্বক (অন্ততঃ বিনা কষ্টে) উপবাস করিবে।

 উপবাসে কোন ভয় নাই। আমাদের যত রোগ, তাহার অধিকাংশই অতিরিক্ত ও কুখাদ্যযুক্ত-ভোজন-জনিত; কিন্তু উপবাস-জনিত নহে। বিধবারা অনেক উপবাস করেন, তাঁহাদের সুস্থ ও তেজঃপূর্ণ শরীর দেখিয়াও কি কিছু শিক্ষা লাভ করা যায় না? পুরোহিত ঠাকুরেরাও অনেক উপবাস করেন। আমরা দেখিয়ছি, অনেক বৃদ্ধ পুরোহিতঠাকুর দুর্গোৎসবের সময় দক্ষিণান্ত শেষ না করিয়া জলস্পর্শ ও করেন না। তাঁহারা কেমন কর্ম্মঠ ও সুস্থ! কে কোথায় শুনিয়াছ যে, ঐ ব্যক্তি উপবাসে রোগগ্রস্ত হইয়াছেন? দীর্ঘকাল না খেগে, প্রাণীমাত্রেই মরিবে, সে বিষয়ে অবশ্য কোন সন্দেহ নাই; কিন্তু সর্প, ভেক—বহুদিন এবং সিংহ, ব্যাঘ্র প্রভৃতি জন্তু অনেক দিন অনাহারে থাকে; কিন্তু উহারা কেমন সুস্থ ও সবল!

 উপবাসে কোন ভয় নাই; তবে একরূপ ভয়ও আছে; সে ভয় উপবাসের জন্য নয়, সে উপবাসের ভয়ের ভয়! উপবাস করিলে আমি মরিয়া যাইব বা কাতর—দুর্ব্বল—পীড়িত হইব, এই যে একটি সংস্কার, উহা সেই সংস্কার-জনিত ভয়। বস্তুতঃ উপবাসে সাধারণতঃ কোনই ভয় নাই।

 পরীক্ষা করিয়া দেখা হইয়াছে যে, ৪০।৫০ দিন