শঙ্খ বাজে ঠাকুরঘরে।
কাঙাল হাসে কতই পেয়ে,
নড়িতে নারে মিঠাই খেয়ে।
মুনি রাখিলেন না, বড় ছেলে হল রাম,
মাতা হন কৌশল্যা যাহার,
কৈকেয়ী রাণীর ঘরে জন্মে যে তাহার পরে
ভরত হইল নাম তার।
লক্ষ্মণ শত্রুঘ্ন আব, দুই ছেলে সুমিত্রার,
দুই ভাই ছোট সকলের,
চারিটি চাঁদের মতো চারি ভাই বাড়ে যত
দেখে চোখ জুড়ায় লোকের।
স্নেহে মিলে চারি ভাই খেলা করে এক ঠাঁই,
হয়ে সবে এক প্রাণ মন,
লেখাপড়া যত হয়, সকল শিখিয়া লয়,
যাহা কিছু জানে গুরুজন।
তার খেলা কত মতো শিখিল তা,কর কত?
মহাবীব হল চারি ভাই,
যাবে ধরে এক আকাশ পাতালে তার
পালাবাব নাহি বহে ঠাঁই।
একদিন রাজা আছেন বসিয়া
সিংহাসনে আপনার,
বিশ্বামিত্র মুনি এমন সময়ে
এলেন সভায় তাঁর।
রাজা কন, “প্রভু, কিসের লাগিয়া,
আসিলেন মোর পাশ?”
মুনি কণ, “হায় দুষ্ট নিশাচর
সকল করিল নাশ।
লুকায়ে আসিয়া রকত ঢালিয়া
মোর যজ্ঞ করে মাটি;
দিন কয় তরে দেহ গো রামেরে,
রাক্ষস দিবে সে কাটি।”
এসে দশরথ কহেন কাঁপিয়া,
“তাও কি কখনো হয়?
রাক্ষসের মুখে কেমনে বাছারে
পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৭২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ছোট্ট রামায়ণ
৭২৭