উভয় সঙ্কট।
৩৯
আমার কথা শুনিয়া বড় সাহেব কহিলেন,—“তুমি বেশ কথা বলিয়াছ। সে এজাহার এখন এখানে নাই; কিন্তু কালই তাহার নকল তোমার নিকট পাঠান হইবে। আমি সে এজাহার ভাল করিয়া পড়িয়াছি। তুমি সে সম্বন্ধে একে একে প্রশ্ন করিলে যতদুর স্মরণ হয়, এখনই সে সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি।”
আমার তখন প্রথম প্রশ্ন হইল,—“আসামীর নাম কি?”
বড়-সাহেব। আসামী বলে যে, তাহার নাম মহম্মদ আলি।
আমি। বাড়ী কোথায়?
বড় সাহেব। সিঙ্গাপুর—কিন্তু সিঙ্গাপুরেও তাহার কোন আত্মীয় স্বজন নাই। সেখানে সে যে হোটেলে চাকুরী করিত, এখন সে হোটেলও উঠিয়া গিয়াছে।
আমি। কলিকাতায় কতদিন আসিয়াছে?
বড় সাহেব। ঘটনার দিনের তিন দিন পূর্ব্বে।
আমি। কলিকাতায় কেন আসিল?
বড় সাহেব। চাকুরীর চেষ্টায়।
আমি। কি চাকুরী সে জানে?
বড় সাহেব। সে বলে, সিঙ্গাপুরের হোটেলে সে পাচকের চাকুরী করিত, সেই চাকুরীর চেষ্টাতেই সে এখানে আসিয়াছে।
আমি। হতব্যক্তির পরিচয় তাহার নিকট কোন পাইয়াছেন কি?
বড় সাহেব। না—সে সেই ঘটনার দিন ঐ বাড়ীতে প্রথম চাকুরী পাইয়াছিল। তাহার প্রভুর কোন পরিচয় সে জানে না।
আমি। আচ্ছা, ঘটনার দিনের তিনদিন পূর্ব্বে সে কলিকাতায় আসিয়া পৌঁছায়, তাহা হইলে আর দুই দিন সে কোথায় ছিল?