পাতা:উৎকলে শ্রীকৃষ্ণ-চৈতন্য.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কটক । 8 কথিত আছে মহাপ্ৰভু ভাগ্যবতী মহানদীতে গড়গড়া ঘাটে স্বান করিয়াছিলেন। ঐ ঘাট কটকের দুর্গের নিকটে। প্ৰস্তরনিৰ্ম্মিত ঘাটের উপরেই শিবমন্দির। — গড়গড়া লি বা । কটকবাসীগণ ঐ ঘাট পবিত্ৰ মনে করেন। । কটকের দুর্গ এককালে খুব প্ৰসিদ্ধ ছিল। রাজা অনঙ্গ ভীমদেব ইহা প্ৰস্তুত করাইয়াছিলেন। ইহার অভ্যন্তরে দেবমন্দিরাদি ছিল। গুড়টি দ্রষ্টব্য ও প্রবেশদ্বার এখনও নিৰ্ম্মােণ কৌশলের পরিচয় দিতেছে। “আইনী আকবরিতে” লিখিত আছে যে, দুর্গের ভিতরে রাজা মুকুন্দদেবের অতি সুন্দর দ্বিতল প্রাসাদ ছিল। এখন তাহ দেখিতে পাওয়া যায় না । অদম্য কাল প্ৰভাব অথবা ঘোর তিমিরাচ্ছন্ন অসভ্য কোন দুরাত্মা সেই প্রাসাদকে ভূমিসাৎ কবিয়া প্রস্তর খণ্ডসমূহ পৰ্যন্ত চক্ষুর অন্তরালে লইয়া গিয়াছে । কটক হইতে মহাপ্ৰভু রাজপথ অবলম্বন করিয়াছিলেন। সে পথে সৈনিকগণের কোলাহল, অশ্বগণের হুেষারাব বা তরবারির আঘাতশব্দ ছিল না। মুসলমান বঙ্গীয় নবাবের সৈন্য তখন অতদুর বাইতে পারে নাই। যাজপুরের দক্ষিণে প্রতাপরুদ্রের শাসন প্রায়ই শত্ৰুশূন্য ছিল। কটক তাহার প্রধান দুর্গ, কিন্তু কটকের দক্ষিণে মুসলমান শত্রু তখনও বিশেষ কোন উৎপাত করিতে পারে নাই। তথা হইতে পুবী পৰ্যন্ত প্ৰদেশ তখন শান্তিময় ছিল । তথায় এখনও লক্ষ্মী বিরাজমান, তখনও তাহাই ছিলেন। যেন অন্নপূর্ণ বারাণসী ধাম ত্যাগ করিয়া গুপ্তকাশী একাম কাননের ও বিষ্ণুর প্ৰিয়তম স্থান পুরুষোত্তমের নিকটবৰ্ত্তী প্রদেশে শত শত বৎসর কৃপাদৃষ্টি বিতরণ করিতেছেন , রাজপথের উভয়পর্শ্বে শস্যপূর্ণ শ্যামল ক্ষেত্ৰসমূহ। বন নাই, জঙ্গল নাই ; কোথাও অনুৰ্ব্বারা ভূমি নাই বলিলে অত্যুক্তি হয় না। মধ্যে মধ্যে দেবমন্দির, সরোবর ও সরোবরের মধ্যে ক্ষুদ্রদ্বীপেও দেবাৰ্চনা স্থান। যেখানে ধান্যক্ষেত্ৰ নাই,