পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y Oo ) তাই বলিতেছিলাম সত্ত্বগুণোপেত ধৰ্ম্ম বিশুদ্ধ হইলেও দেশ, কাল, পাত্র ও অবস্থা বিশেষে রজঃ ও তমোগুণের কাৰ্য্যও অধৰ্ম্ম নহে। গুণময়ী সৃষ্টি-ক্রিয়ার প্রবাহ চালাইবার জন্য গুণ ত্ৰিতয়েরই আবশ্যকতা । যাহাই হউক সনাতন ধৰ্ম্মের ব্যষ্টিস্বরূপ দেখাইবার সময় সে সমস্ত গুণাগুণের বিশেষভাবে আলোচনা করা যাইবে । সম্প্রতি, সৃষ্টিস্থিতিকারক সত্ত্বগুণোন্মেষিত ধৰ্ম্মের কথাই বলা সঙ্গত বিবেচনা করি। সমষ্টি দৃষ্টিতে সনাতন ধৰ্ম্ম রক্ষক একমাত্ৰ সাত্ত্বিক প্ৰবৃত্তি । এই সাত্ত্বিক প্ৰবৃত্তিই অন্যতম সনাতন ধৰ্ম্ম এবং ইহার বিরোধী যাহা তাহাঁই অধৰ্ম্ম। কাম, ক্ৰোধ, ভ্যসূয়া, দস্ত ইত্যাদি তামসিক বৃত্তিগুলি জীবের স্বাভাবিক উন্নিনীষার বিরোধী, অতএব ইহারা অধৰ্ম্ম এবং বৈরাগ্য ক্ষান্তি ঔদার্ঘ্য ইত্যাদি তাহার অনুকুল বলিয়৷ ইহারা ধৰ্ম্ম। কেবল ইহা যে জীবের জীবত্ব নষ্ট করিয়া ব্ৰহ্মরূপে অবস্থান করাইবার জন্য ধৰ্ম্ম নাম গ্ৰহণ করিয়াছে তাহা নহে । ধৰ্ম্ম সুবিশাল জগৎকে ধারণা করিয়াছে বা রক্ষা করিতেছে বলিয়াই ধৰ্ম্ম । কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, রাজনীতি, সমাজনীতি, আয়ুৰ্পেদ, ধনুৰ্বেদ, স্থপতিবিদ্যা, আলেখ্য-বিদ্যা, সঙ্গীত, দেশাচার, দিগ্বিজয়, ভাষা, সাহিত্য ইত্যাদি চিন্তাযোগ্য বিষয় মাত্রেই ধৰ্ম্মের রক্ষণশীলতা দেদীপ্যমান রহিয়াছে। ব্যষ্টি ধৰ্ম্ম আলোচনার সময় ইহার প্রত্যেকটাতে ধৰ্ম্মের ওতপ্রোতভােব দেখাইবার বাসনা अश्विन । * আজ কেবল সনাতন ধৰ্ম্মের সমষ্টি স্বরূপই দেখান হইবে।