পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩১ ] ধৰ্ম্মই মানবকে সংসারের অশেষ বিপদরাশির মধ্যে সুখের পথ প্ৰদৰ্শন করে । ভবাসাগরে ধৰ্ম্মই মানবকে পোত-প্ৰদীপ স্বরূপ সমুজ্জ্বল জ্যোতিঃ বিকীর্ণ করিয়া প্ৰবল ঝটিকান্দোলিত উত্তাল তরঙ্গমালার মধ্য দিয়া তীরস্থ করে। জগতে মানব ব্যষ্টিভাবে দুর্বল অসহায় হইলেও সমষ্টিভাবে প্রভূত শক্তির আধার। মানব সমাজবদ্ধ হইয়া সমবেত চেষ্টা দ্বারা জাতীয় সাধনার গুণে স্বকীয় শ্ৰীবৃদ্ধি সাধনে যত্নশীল । যে জাতীয় সাধনার গুণে মানব এ জগতে অন্য প্ৰাণী অপেক্ষা এত উন্নত, ধৰ্ম্মই সে সাধনার জীবাতু। মানব সমাজবদ্ধ হওয়া অবধি পরিবারবর্গে কোিষ্টত হইয়া লোকালয়ে বসবাস করে । অসংখ্যা ভিন্ন পরিবার লইয়া এক এক সমাজ গঠিত হয়। সামাজিক অসংখ্য সম্বন্ধ নিরূপণ করতঃ সমাজকে সুশৃঙ্খলার সহিত পরিচালনা করা ধৰ্ম্মের এক মহৎ কৰ্ত্তব্য। এই কারণে বোধ হয় পুরাকাল হইতে ধৰ্ম্ম, সকল দেশে বিবাহদি সংস্কারগুলি স্বহস্তে পরিচালিত করে এবং সমাজের পারিবারিক গঠন পদ্ধতি অটুট রাখিবার জন্য সর্বত্র নানাবিধ অবশ্য প্ৰতিপাল্য নিয়ম বা রীতি নীতির ব্যবস্থা করে । মানবের এই বাহ্যিক প্ৰাকৃত ব্যবহার পরিত্যাগ করিয়া অন্তরের ব্যাপার দেখিলে সেখানেও ধৰ্ম্মের রক্ষণশীলতা মূৰ্ত্তিমতী। স্থূলতঃ বলা যাইতে পারে যে, তিন প্রকার প্রবৃত্তি লইয়া মানবের মন গঠিত। স্বাৰ্থ প্রবৃত্তি, পরার্থ-প্রবৃত্তি ও বুদ্ধিবৃত্তি । ইহাদের মধ্যে স্বাৰ্থ-প্ৰবৃত্তি নিকৃষ্ট অর্থাৎ মানবের রিপুর। পরার্থ