পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8७ l অর্থাৎ—কাধিক মাসে বিষ্ণু-মন্দিরে যে ব্যক্তি স্বত্যাদি।পূর্ণ প্ৰদীপ প্ৰদান করে, সে ব্যক্তি অগ্নিষ্টোম সহস্রের ফল প্ৰাপ্ত হয় । অধিক কি “পারদীপ প্ৰবোধিনাৎ’ নিজে প্ৰদান করিতে অসমর্থ হইলেও পর-প্রদত্ত প্ৰদীপ উল্কাইয়া দিলেও পুণ্য আছে বলিয়াছেন। এই প্ৰদীপ প্ৰদান সম্বন্ধে স্মৃতি ভুরি ভুরি উপদেশ দিয়া গিয়াছেন। স্মৃতির এই ব্যবস্থা দেখিলে স্পষ্ট প্ৰতীয়মান হয় যে, স্মৃতির অভিপ্ৰায় কাৰ্ত্তিক মাসে সৰ্বথা। ঘূতাদিপূর্ণ দীপাদি ব্যবহৃত হউক। বলা বাহুল্য কাৰ্ত্তিক মাসবিহিত ভারতের প্রায় সার্বভৌম বা সাৰ্বজনীন দীপাবলী অমাবস্যা, মহালয়া-শ্ৰাদ্ধ-বিহিত উজ্জ্বল আলোক দান এবং সমস্ত মাসব্যাপী হিন্দুর প্রত্যেক গৃহে আকাশ প্ৰদীপ দান, সে ভারতময় প্রাচীন প্রথার ধবংসাবশেষ । , ইহা ব্যতীত কান্ত্রিকে অন্যান্য অবান্তরীন কৃত্যকলাপ অনেক থাকিলেও প্ৰাতঃস্নান, ব্ৰহ্মচৰ্য্য, তুলসী দান ও প্ৰদীপ প্ৰদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি ব্ৰহ্মচর্য্যের অনুকুল হাবিন্যান্ন ভোজন ও ষম নিয়ম ব্ৰতোপবাসের আলোচনা করিব। স্মৃতির স্থূলতঃ অভিমত প্ৰবৃত্তানাঞ্চ ভক্ষ্যাণাং কাৰ্ত্তিকে নিয়মে ক্লতে। অবশ্যং কৃষ্ণরূপত্বং প্ৰাপ্যতে মুক্তিাদং শুভং ॥ অর্থাৎ কাৰ্ত্তিকে নিত্য ভক্ষ্যমান দ্রব্যের নিয়ম সঙ্কোচ করিলে, মুক্তিপ্ৰদ শুভ কৃষ্ণপদ প্ৰাপ্ত হয় । , বলা বাহুল্য, এই প্ৰথা বা আদেশই জুবিন্যাক্সের ভিত্তি ।