পাতা:ঊনবিংশতি সংহিতা.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ناقلا সধুমোই ধ্যায়ঃ । বর্ণনামীশ্রমাণাঞ্চ কথিতং ধৰ্ম্মলক্ষণম্। যেন স্বর্গাপবৰ্গক প্রাপুস্তি দ্বিজাতয় । ১ যোগশাস্ত্রং প্রবক্ষ্যামি সঙ্গেপাৎ সারমুত্তমম্। যস্ত চ প্রবণাদযাপ্তি মোক্ষঞ্চৈব মুমুক্ষব ॥ ২ যোগাভ্যাসবলেনৈৰ নখেযুঃ পাতকানি তু। তন্মাযোগপরে ভূত্বা ধ্যায়েন্নিত্যং ক্রিয়াপরঃ । ৩ প্রাণায়ামেন বচনং প্রত্যাহারেণ চেন্দ্রিয়ম্। ধারণাভিৰ্ব্বশে কৃত্বা পূৰ্ব্বং তুৰ্দ্ধৰ্ষণং মনঃ ॥ ৪ একাকারমনা মন্দং রোধধরূপময়াময়ম্। স্বাক্ষাৎ স্বল্পতরং ধ্যায়েজগদাধারমুচ্যতে ॥ ৫ আত্মানং বহিরস্তঃস্থং শুদ্ধচামীকরপ্রভম্। রহস্তেকাস্তমাসীনো ধ্যায়েদামরণাস্তিকম্ ॥ ৬ ধৎ সৰ্ব্বপ্রাণিহদয়ং সৰ্ব্বেষাঞ্চ হৃদিস্থিতম্। উদাসীন করিয়া ক্রমে ক্রমে নিলিপ্তভাবে এই প্রকার আচরণ করেন, তিনি সমস্ত সংসারবন্ধন হইতে মুক্তি লাভ করত অমৃতাত্মা ভগবান বিষ্ণুর *iग धों★ॐ ट्न् ! s-२७ ।। অধ্যায় সমাপ্ত ॥ ৬ ॥ সপ্তম অধ্যায় । বর্ণ ও আশ্ৰম-সমুহের ধৰ্ম্মলক্ষণ কথিত হইল। এই ধৰ্ম্মের অনুষ্ঠানে দ্বিজাতিগণ স্বর্গ ও অপবর্গ লাভ করেন। এক্ষণে সংক্ষেপে সার উত্তম যোগশাস্ত্র বলিতেছি, যাহা শ্রবণ করিলে মুমুকূব্যক্তিগণ মোক্ষ লাভ করিয়া থাকেন। যোগভ্যাস-বলেই সকল প্রকার পাপ নষ্ট হয়। এইজন্ত ক্রিয়ারত ব্যক্তি যোগরত হইয়া নিত্য ধ্যান করিবে। অগ্ৰে তুৰ্দ্ধৰ্ষ মনকে ধারণ দ্বারা বশ করিয়া, প্রাণায়াম ও প্রত্যাহার দ্বার যথাক্রমে বচন ও ইন্দ্রিয়বর্গকে বশ করিবে । এইরূপ মন প্রভৃতি ইন্দ্রিয়বর্গকে বশ করিয়া, জীবাস্বার সহিষ্ঠ পরমাত্মার অভেদ জ্ঞান করত, জ্ঞানস্বরূপ, জগদ্ধার বলিয়া কীৰ্ত্তিত, অনাময়, স্বল্প হইতে স্বগ্নতর ব্রহ্মকে শনৈ: শনৈ: ধ্যান করিবে । নির্জনে একান্তচিত্তে উপবেশন করিয়া, বাহির ও অন্তরস্থ, নিৰ্ম্মল, সুবর্ণসদৃশ প্রভাশালী পরমাত্মাকে দেপাক্ত কাল পর্য্যন্ত চিন্তু, করিৰে । “যিনি সকল প্রাণীয় হৃদয়, যিনি সকলের হৃদয়স্থিত, যিনি সকল উনবিংশর্তি-সংহিতা । যচ্চ সৰ্ব্বজনের্জেয়ং সোহহমস্ট্রীতি চিস্তয়েৎ i ৭ | আত্মলাভসুখং যাবত্তপো ধ্যানমূদৗরিতম্। শ্রুতিস্মৃত্যাদিকং ধৰ্ম্ম তদ্বিরুদ্ধং ন চাচরেৎ ॥৮ যথা রথোহশ্বহীনস্থ যথাখে রথিহীনকঃ এবং তপশ্চ বিদ্যা চ সংযুতং ভৈষজং ভবেৎ ॥ ৯ যথাস্নং মধুসংযুক্তং মধুরান্নেন সংযুতম্। উভভ্যামপি পক্ষাভ্যাং যথা থে পক্ষিণাং গতি ॥ ১০ তথৈব জ্ঞানকৰ্ম্মভ্যাং প্রাপ্যতে ব্ৰহ্ম শাশ্বতম্। বিষ্ঠাতপোভ্যাং সম্পমে ব্রাহ্মণে যোগতৎপরঃ ॥ ১১ দেহদ্বয়ং বিহায়াশু মুক্তো ভবতি বন্ধনাথ । ন তথা ক্ষীণদেহস্ত বিনাশে বিদ্যতে ক্কচিৎ ॥ ১২ ময়া তে কথিত: সৰ্ব্বে বর্ণাশ্রমবিভাগশ: | সজেক্ষপেণ দ্বিজশ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্মস্তেষাং সনাতনঃ । ১৩ শ্রীত্বৈবং মুনয়ো ধৰ্ম্মং স্বৰ্গমোক্ষ ফলপ্রদম্। প্ৰণম্য তস্কৃষিং জম্মুদিতা স্বং স্বকাশ্ৰমম্।। ১৪ মার্কণ্ডেয় উবাচ । ধৰ্ম্মশাস্ত্রমিদং সৰ্ব্বং হরীতমুখনিঃস্থতম্। অধীত্য কুরুতে ধৰ্ম্মং স যাতি পরমাং গতিম্ ॥ ১৫ জানের জ্ঞেয়, সেই পরমাত্মাই “আমি” এ প্রকার চিস্তা করিবে । আল্পসাক্ষাৎকার-সুখ হইতে যাহ কিছু বেদ ও স্মৃতি-কথিত তপোধ্যানাদি ধৰ্ম্ম আছে, তাহার বিরুদ্ধাচরণ করিবে না । যে প্রকার অশ্বহীন রথে কিংবা রথিহীন অশ্বে কোন ফল হয় না, সেইরূপ বিদ্যা ও তপস্যা একত্র না থাকিলে কোন ফল নাই ;–পরম্পর মিলিত হইলেই উপকার । আসে। পক্ষিগণ যেমন উভয় পক্ষে ভর দিয়া আকাশে গমন করে, সেইরূপ জ্ঞান ও কৰ্ম্মরূপ পক্ষদ্বয়দ্বারা নিত্য ব্রহ্মসাক্ষাৎকার-সুখকর-আকাশে যথেষ্ট সঞ্চরণ করা যায় । কৰ্ম্মবিহীন শুষ্ক জ্ঞান বা জ্ঞানহীন কেবল কৰ্ম্ম দ্বারা মোক্ষ হয় না। বিদ্যা ও তপস্যাযুক্ত ব্রাহ্মণ যোগপর হইয়া বাহ ও লিঙ্গ শরীর পরিত্যাগ করত ভববন্ধন হইতে মুক্ত হন । যেমন দেহাদির বিনাশ হয়, সেরূপ, সম্পর্কবিহীন আত্মার বিনাশ কখনই হয় না। হে দ্বিজশ্রেষ্টগণ ! আপনাদিগের নিকট বর্ণাশ্রমবিভাণামুসারে বর্ণাশ্রমস্থগণের সনাতন ধৰ্ম্ম সংক্ষেপে এই কথিত হইল। মুনিগণ ধৰ্ম্মমোক্ষফল প্রদ এই প্রকার ধৰ্ম্ম শ্রবণ করত অতিশয় হর্ষযুক্ত হইয়া সেই হারাত-খষিকে প্রণাম করিয়া নিজ নিজ আশ্রমে গমন করিলেন। মার্কণ্ডেয় কছিলেন, হারাত-মুখনিঃস্থত শাস্ত্রাঙ্গুসারী এই ধৰ্ম্ম অধ্যয়ন