ধাজ্ঞবৰসংহিতা অনন্তবিষয়ং কৃত্ব মনোবুদ্ধিস্মৃতীক্রিয়ম্। ধোয় আস্থা স্থিতে যোংলোঁ হৃদয়ে দীপবংপ্ৰভু । যথাবিধানেন পঠন সামগায়মবিচু্যতম। সাবধানস্তদভ্যাসাং পৰ্বং ব্ৰহ্মাধিগচ্ছতি ॥১১২ অপরাস্তকমূল্লোপ্যং মদ্রকং প্রকরীস্তথা। ঔবেণকং সরোবিন্দুমুত্তরং গীতকানি চ । ১১৩ ঋগৃগাথাপাণিকদক্ষবিহিত ব্ৰহ্মগীতিকাঃ। জ্ঞেয়মেতত্তদভ্যাসকরণন্মোক্ষসংজ্ঞিতম্ ॥ ১১৪ বীণাবাদনতত্ত্বজ্ঞঃ শ্ৰুতিজাতিবিশারদ । তালজ্ঞশ্চাপ্রয়াসেন মোক্ষমার্গং নিযচ্ছতি ॥ ১১৫ গীতজ্ঞে যদি গীতেন নাপ্নোতি পরমং'পদম্। রুদ্রস্তাম্লচরে ভূত্বা তেনৈব সহ মোদতে ॥১১৬ অনাদিরাক্স কথিতস্তস্যাদিও শরীরকম্। আত্মরশ্চ জগৎ সৰ্ব্বং জগতশ্চাত্মসম্ভবঃ ১১৭ কথমেতদ্বিমুহামঃ সদেবাসুরমানবম্। মন (সঙ্কল্প-বিকল্পাক্সক) বুদ্ধি ( অধ্যবসায়াক্সিকা), স্মরণ এবং ইন্দ্রিয় সকলকে, আত্মভিন্ন বিষয়াস্তর হইতে আচ্ছিন্ন করিয়া, যে প্রভু দীপবং হৃদয়ে অবস্থিতি করিতেছেন, সেই আত্মার ধ্যান করিতে হুইবে । ইহাতে অসমর্থ হইলে সম্পূর্ণরূপে একাগ্রচিত্ত হইয়া যথাবিধি সামগীতি পাঠ করিতে করিতে ক্রমে উছার অভ্যাসজনিত ফলে, পরব্রহ্ম লাভ করিবে। অপরাস্তক, উল্লোপ্য, মদ্রক, মকরী, ঔবেনব, সরোবিন্দু এবং উত্তর এই সকল গীত ঋগগাথাগীতি, পাণিকাগীতি, দক্ষবিহিত গীতি এবং ব্রহ্মগীতি, এই সমস্ত গীত অধ্যাত্মভাবের সহিত মিলিত করিয়া গান করবে ; তাছার অভ্যাসে মোক্ষলাভ | । বীণাবাদন-মৰ্ম্মবেত্ত, দ্বাবিংশতি শ্রুতি, শুদ্ধ সপ্তবিধ এবং সঙ্কীর্ণ একাদশবিধ—এই অষ্টাদশবিধ জাতি-তদ্বিষয়ে সুদক্ষ ও তালজ্ঞ ব্যক্তি (উহার সহিত পরমাত্মভাব মিশ্রিত থাকিবে ও তালভঙ্গদি ভয়ে চিত্তের একাগ্রতা ত থাকিবেই, সুতরাং) অনায়াসেই মুক্তি লাভ করিতে পারে। গীতজ্ঞ ব্যক্তি অন্ত কোন বিম্ব বশত: যদি এইরূপ চিত্তেকগ্রতা দ্বারাও পরম পদ লাভ করিতে না পারে, তথাপি রুদ্রের অনুচর হইয়া রুদ্রের সহিত আমোদ প্রমো করিতে পারবে। ফলত: আস্থা অনাদি, শরীর-ধারণই তাছার জন্ম বলিয়া ব্যপদিষ্ট হয়। স্থা হইতে জগতের উৎপত্তি এবং জগৎ ইতে জাম্বাধিষ্ঠিত শরীরের উদ্ভব কথিত হইয়াছে। হে ধোগীশ্বর। স্বয়াসুরমন্থজ-পরিছিত জগল্পগুল, १० A জগহস্তুতমাহ্ম চ কথং তস্মিন বাস্থ ন ॥১১৮ মোহজালমপাস্তেহ পুরুষে দৃশুতে হি ধ: , সহস্রকরপন্নেত্রঃ স্বৰ্য্যবর্চা; সহস্ৰক ৷ ১১৯ ' ' স আত্ম চৈব যজ্ঞশ্চ বিশ্বরূপ: প্রজাপতিঃ । , বিরাজঃ সোহন্নরূপেণ যজ্ঞত্বমূপগচ্ছতি ॥ ১২• " যে দ্রব্যদেবতাত্যাগসস্তুতে রস উত্তমঃ। . দেবান সস্তপ স রসে যজমানং ফলেন চ ॥১২১ সংযোজ্য বায়ুম সোমং নীয়তে রশ্মিভিস্ততঃ। ঋসূযজুঃসামবিহিতং সৌরং ধামোপনীয়তে ॥ ১২২ স্বমণ্ডলাদসে স্বৰ্য্যঃ স্বজতামৃতমুত্তমম্। যজন্ম সৰ্ব্বভূতানামশনানশনাত্মনাম। ১২৩ তন্মাদন্নাং পুনর্যজ্ঞঃ পুনরশ্নং পুন: ক্রতুঃ। এবমেতদনাদ্যস্তং চক্ৰং সম্পরিবর্ততে ॥ ১২৪ ৷ অনাদিরাত্ম সন্তুতিৰ্ব্বিদ্যতে নান্তরাত্মন: । আত্মা হইতে কিরূপে উৎপন্ন হইল, আত্মাই বা কিরূপে নানাবিধ শরীর গ্রহণ করেন, এ বিষয় আমরা বিশেষরূপ হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিতেছি না । আমাদিগের নিকট বিস্তারিতরূপে বলুন (ইছা শ্ৰোতৃবর্গের প্রশ্ন )। (মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য উত্তর করিলেন) দেহাদির প্রতি আত্মাভিমান পরিহার করিলে তদ্ভিন্ন যে সহস্রকর সহস্রচরণ সহস্ৰনেত্র স্বৰ্য্যসমতেজস্বী, সহস্রশীর্ষ পুরুষের সাক্ষাৎ করা হয়, সেই আত্মাই যজ্ঞ এবং প্রজাপতিস্বরূপ ; কেননা তিনি সৰ্ব্বাত্মক, এই পুরুষ অন্নরূপে যজ্ঞভাব প্রাপ্ত হন, (যজ্ঞের প্রভাবে বুষ্ট্যাদির দ্বারা প্রজা স্বষ্টি হয় ; ইহাই সৰ্ব্বাত্মক হইবার কারণ । ১১১-১২• । দেবত-উদ্দেশে দ্রব্য ত্যাগ করায় অদৃষ্টরূপ যে উত্তমরস সভূত হয়, তাহা দেবতাদিগকে প্রীত করিয়া যজমানকে বাঞ্ছিত ফল প্রদান করে ; অনস্তর পবনচালিত হইয়া চন্দ্র অভিমুখে নীত হয়, আবার চক্ররশ্মির সাহায্যে, চন্দ্রমণ্ডল হইতে ঋকৃযজুঃসামময় স্বর্ধ্যরশ্মিতে উপনীত হইয় থাকে, তৎপরে এই স্বৰ্য্য স্বীয় মণ্ডল হইতে বৃষ্টিরূপ উত্তম অমৃতরস সৃষ্টি করেন, র্যাহা হইতে" সাক্ষাৎ বা পরম্পরায় (এই চরাচরাত্মক জগতের উৎপত্তি, জগতের উৎপত্তিয় সহিত অল্পও উৎপন্ন হয়, ) সেই অন্ন হইতে যজ্ঞ, যুদ্ধ হইতে পুনৰ্ব্বার উক্তরূপে অন্ন উৎপন্ন হয়। এইপ্রকার প্রবাহরূপে অনাদি অনন্ত সংসারচক্র নিরস্তুর পরিবর্ধিত হইতেছে। যদি আত্মা আদি এবং সেই শরীরব্যাপী পুরুষের উৎপত্তি নাইতথাপি শরীরের সহিত আত্মার একটা বিশেষ
