পাতা:ঊনবিংশতি সংহিতা.pdf/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরাশরসংহিতা । সা মৃত্য জায়তে ব্যালী বৈধব্যঞ্চ পুনঃপুনঃ ॥ ১৬ ওঘবাতাহতং বীজং যথা ক্ষেত্রে প্রয়োহুতি । ক্ষেত্ৰী তল্লভতে বীজং ন বীজী ভাগমৰ্হতি ॥ ১৭ তদ্বৎ পরস্ক্রিয়াঃ পুত্রেী দ্বেী সুতে কুণ্ডগোলকে । পতেী জীবতি কুগু: স্তন্মতে ভৰ্ত্তার গোলক: ॥ ১৮ ঔরসঃ ক্ষেত্ৰজশ্চৈব দত্তঃ কৃত্রিমকঃ স্বতঃ। দস্তান্মাতা পিতা বাপি স পুত্রে দত্তকে ভবেৎ ॥ ১৯ পরিবিত্তিঃ পরিবেত্ত যয়া চ পরিবিদ্যতে । সৰ্ব্বে তে নরকং যাস্তি দাতুযাজকপঞ্চমাঃ ॥ ২• দারাগ্নিহোত্রসংযোগং যঃ কুর্ধ্যাদগ্ৰজে সতি। পরিবেত্ত: স বিজ্ঞেয় পরিবিত্তিৰ পূৰ্ব্বজঃ। ২১ - পরিবিত্তেম্ভ কস্তায়াঃ ক্লছ্‌ এব চ। কৃচ্ছ্বাতিরুচ্ছে দাতুশ্চ ত্ত্বোতী চাম্ৰায়ণ চরেৎ ॥ ২২ কুজবামনষণেষু গদেগদষু জড়েষু চ । জাতন্ধে বধিরে মুকে ন দোষ পরিবেদনে ॥ ২৩ পিতৃব্যপুত্র: সাপত্যুঃ পয়নারীমুতস্তথা। দায়াগ্নিহোত্রসংযোগে ন দোষঃ পরিবেদনে ॥ ২৪ স্বামিকে যে স্ত্রী অবজ্ঞা করে, সে মরণাস্তে সৰ্প হইয়৷ জন্মগ্রহণ করে এবং পুনঃপুনঃ বৈধব্যযন্ত্রণ ভোগ করে। জলপ্রবাহ বা বায়ু দ্বারা প্রেরিত হইয় বীজ কোন ক্ষেত্রে পতিত ও অঙ্কুরিত হইলে ক্ষেত্রস্বামী যেমন তাহার অধিকারী হয়, বীজস্বামী ভাগ পায় না ; পরপত্নীগর্ভে উৎপাদিত হুই প্রকার পুত্র-কুগু ও গোলক, তদ্রুপ অর্থাৎ ক্ষেত্রীর অধিকৃত, বীজী পুরুষের নহে । স্বামী জীবিভ থাকিতে, পরপুরুষের ঔরসে যে সস্তান উৎপাদিত হয়, তাহার নাম কুণ্ড, আর স্বামীর মরণাস্তে হইলে তাহার নাম গোলক । পুত্র চারি প্রকার,—ঔরস, ক্ষেত্ৰজ, দত্তক ও কৃত্রিম । মাতা বা পিতা যে পুত্র অপরকে দান করে, তাহার নাম দত্তক । পরিবিত্তি, পরিবেত্তা এবং যে কষ্ঠার সহিত পরিবেদন হয়, যে ঐ কস্তা দান করে, যে সেই বিবাহের পৌরোহিত্য করে ; এই পাঁচ ব্যক্তিই নরকগামী হয়। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা অবিবাহিত থাকিতে যে ব্যক্তি বিবাহ ও অগ্নিহোত্র করে, তাহাকে পরিবেত্তা বলে, আর সেই অবিবাহিত অগ্রজকে পরিবিত্তি বলে। পরিবিত্তির দুই কৃচ্ছ্ব, সেই কস্তার এক কুছু, কন্যাদাতার কুঞ্জাতিকছু এবং পুরোহিতের চাম্ৰায়ণ ব্রত বিধেয়। জ্যেষ্ঠ ভ্রাত কুজ, বামন, ক্লাব, গদগদ, জড়, জন্মান্ধ, বধির ও মুক হইলে, কনিষ্ঠের বিবাহ দুৰ্ষণীয় নয় জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা যদি পিতৃব্যপুত্র হয়, বৈমাত্রেয় হয়, বা vరిష్క్రి) জ্যেষ্ঠে ভ্রাতা যদি তিষ্ঠেদাধানং নৈব চিস্তয়েৎ । অনুজ্ঞাতৰ কুৰ্ব্বত শখস্ত বচনং যথা। ২৫. নষ্ট্রে মুতে প্রত্ৰজিতে ক্লাবে চ পতিতে পতেী । পঞ্চস্থাপৎসু নারীণাং পতিয়ন্তো বিধীয়তে ॥ ২৬ মুতে ভৰ্ত্তার য। নারী ব্রহ্মচর্য্যে ব্যবস্থিত। সা মৃত লভতে স্বৰ্গং যথা তে ব্ৰহ্মচারিণী ॥ ২৭ পিতার ঔরসে পরস্ত্রীগর্ভজাত সন্তান হয়, তাহ হইলে কনিষ্ঠভ্রাতার দারপরিগ্রহ ও অগ্নিহোত্রক্রিয়া দোষাবহ নয়। আর যদি জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বিদ্যমান থাকিয়া স্বয়ং বিবাহ করিতে অনিচ্ছুক থাকেন, তবে তাহার অনুমতি লইয়। কনিষ্ঠ বিলাহু করিবে , শখের এইরূপ ব্যবস্থা আছে। যে পাত্রের সহিত বিবাহের কথাবাৰ্ত্ত স্থির হইয়া আছে, তাহার সহিত কস্তার বিবাহ দিতে হইলে, তবে ঐ ভাবী পতি যদি | নিরুদেশ হয়, মরিয়া যায়, প্রত্ৰজ্য অবলম্বন করে, ক্লাব বলিয়া স্থির হয় বা পতিত হয়, তবে এই পঞ্চ প্রকার আপদে ঐ কস্তার পাত্রাপ্তরে প্রদান বিহিত স্বামীর মরণাস্তে যে নারী ব্রহ্মচৰ্য্য i : মুলে যে অনুবাদ প্রদত্ত হইল, ইহাই বছপণ্ডিত-সম্মত। অার একটা যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যাও প্রদত্ত হইতেছে, এতদ্বারা নিঃসংশয়ে প্রতিপন্ন হইবে যে, বিধবা-বিবাহ এখনকার প্রচলনীয় নহে । “স্বামী যদি নিরুদেশ হয়, মরিয়া যায়, প্রত্ৰজ্য অবলম্বন করে, ক্লীব বলিয়া স্থির হয় বা পতিত হয়, তাহা হইলে নারী পত্যন্তর গ্রহণ করিবে ।” এ বচনের ইহাই অনুবাদ । কিন্তু এ বচনের অনুমতি রক্ষা বর্তমান সময়ে নিষিদ্ধ। যথা পরাশরভাষ্যধূত আদিপুরাণ “দীর্ঘকালং ব্রহ্মচৰ্য্যং দেবরেণ সুতোৎপত্তিঃ দত্ত কস্তা প্রদীয়তে । কস্তানামসবর্ণনাং বিবাহশ্চ দ্বিজাতিভিঃ। দত্তৌরসেতরেযান্তু পুত্রত্বেন পরিগ্রহঃ । শূদ্রেষু দাসগোপালকুলমিত্ৰাদ্ধসীরিণাম। ভোজ্যান্নত গৃহস্থস্য এতানি লোকগুপ্ত্যর্থ কলেরাদেী মহাত্মভিঃ । নিবৰ্ত্তিতানি কৰ্ম্মাণি ব্যবস্থাপূৰ্ব্বকং বুধেঃ অর্থাৎ কলিপ্রারম্ভের পর, মহাত্মা পণ্ডিতগণ পূৰ্ব্বপ্রচলিত এই সকল কৰ্ম্ম সমাজরক্ষার্থ ব্যবস্থাপূৰ্ব্বক নিষেধ করিয়া গিয়াছেন। যথা দীর্ঘকাল ব্রহ্মচৰ্য্য, দেবর দ্বারা পুত্র উৎপাদন, পরিণীত। নারীর পত্যস্তকগ্রহণ, অসবর্ণী কস্তার সহিত দ্বিজাতিগণের বিবাহ, দত্তক ও ঔরস ভিন্ন ক্ষেত্ৰজ