পাতা:ঊনবিংশতি সংহিতা.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষ্ণুসংহিও{। - । বর্ণনামাখ্রমাণাঞ্চ ধৰ্ম্মান বদ সনাতনাম , ত্বত্তোহহং শ্লোতুমিচ্ছামি ত্বং ছি মে পরম গতি ॥ ৪৬ নমস্তে দেবদেবেশ দেবারিবলম্বদন । মারায়ণ জগন্নাথ শঙ্খচক্ৰগদাধর । ৪৭ পদ্মনাভ হৃষীকেশ মহাবলপরাক্রম। অতীন্দ্রিয় সুস্থম্পার দেব শাঙ্গ ধনুৰ্দ্ধর ॥ ৪৮ বরাহ ভীম গোবিন্দ পুরাণ পুরুষোত্তম । হিরণ্যকেশ বিশ্বাক্ষ যজ্ঞমূৰ্বে নিরঞ্জন। ৪৯ ক্ষেত্র ক্ষেত্ৰজ্ঞ লোকেশ সুলিলান্তরশায়ক । মন্ত্র মন্ত্রবষ্কাচিন্ত্য বিদবেদাঙ্গবিগ্রহ ॥ ৫০ জগতোহুস্ত সমগ্ৰস্ত স্বষ্টিসংহারকারক । সৰ্ব্বধৰ্ম্মজ্ঞ ধৰ্ম্মাঙ্গ ধৰ্ম্মযোনে বরপ্রদ ॥ ৫১ বিশ্বক্সেনাযুত ব্যোম মধুকৈটভম্বদন। বৃহতীং বৃংহণাজ্ঞেয় সৰ্ব্ব সৰ্ব্বাভয়প্রদ ॥ ৫২ বরণ্যানঘ জীমূতব্যয় নির্বাণকারক । আপ্যায়ন অপাংস্থান চৈতন্তাধার নিক্রিয় ॥ ৫৩ আছে।” দেবদেব এই কথা বসুমতীকে বলিলে, বসুমতী উহাকে বলিলেন, “বর্ণ এবং আশ্রমের সনাতন ধৰ্ম্ম সকল বল। তোমার নিকট হইতে ,ইহা শুনিতে ইচ্ছা করি, তুমিই আমার একমাত্র গতি। হে দৈত্যবলস্থদন ! দেবাধিপতি দেব ! তোমাকে নমস্কার । হে “নারায়ণ ! হে জগন্নাথ ! শঙ্খচক্ৰগদাধর ! হে পদ্মনাভ ! হে হৃষীকেশ ! হে মহাবলপরাক্রম ! হে অতীন্দ্রিয় অর্থাৎ ইলিয়ের অজ্ঞেয়! হে সুস্থম্পার অর্থাৎ অপার ! হে দেব ! হে সৰ্ব্বধমুৰ্দ্ধারিন! হে বরাহু! হে ভীম ! হে গোবিন্দ ! হে পুরাণ! হে পুরুষোত্তম ! হে হিরণ্যকেশ! হে ৰিশ্বাক্ষ অর্থাৎ সৰ্ব্বদ্রষ্ট ! হে যজ্ঞরূপ! হে নিরঞ্জন অর্থাৎ অব্যক্ত ! হে স্থলাদিদেহ ! হে ক্ষেত্ৰজ্ঞ ! হে লোকনাথ! হে সলিলাৰ্ণবশায়ক অর্থাৎ অগাধসমুদ্রশায়ী ! হে মন্ত্র ! হে মন্ত্রভাব অর্থাৎ হোতা ! হে অচিন্ত্য ! হে বেদবেদাঙ্গরূপিন। হে এই সমস্ত জগতের স্বষ্টিস্থিতিকরিন! হে ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মজ্ঞ ! হে ধৰ্ম্মাঙ্গ ! হে ধৰ্ম্মসম্ভব! হে বরদ ! হে বিশ্বকৃসেন ! হে অবিনাশিনী! হে আকাশরুপ! হে মধুকৈটভম্বদন! হে বৃহত্যং বৃহণ অর্থাৎ আকাশাদিবৰ্দ্ধক! অথবা আকা" দি হইতেও বৃহৎপরিমাণ ! হে অজেয় ! হে সৰ্ব্ব ! হে সৰ্ব্বভয়দ ! হে বরেণ্য ! হে অনঘ! হে জীমূত অর্থাৎ মেঘগুমে অথবা জীবানন্দকর ! হে অব্যয় ! হে জগন্ধিৰ্ম্মাণকল্পিস্ ! ছে আশ্যয়ন অর্থাৎ জগদানন্দ ! হে চৈতগুঞ্জয় ! ২৯ সপ্তশীর্ষধিবরগুরো পুরাণ পুরুষোত্তৰ । এবাক্ষর সুস্থক্ষ্মেশ ভক্তবৎসল পৰিল ॥৫৪ ত্বং গতিঃ সৰ্ব্বদেবানাং ত্বং গতিশ্ৰহ্মবানি" , তথা বিদিতবেদ্যানাং গতিত্বং পুরুষোত্তম ॥৫* প্ৰপন্নাশ্মি জগন্নাথ এবং বাচস্পতিং প্রভূৰ্ম্ম । সুব্রহ্মণ্যমনাধুষ্টং বমুখেলং বসুপ্রদম ॥ ৫৬ মহাযোগবলোপেতং পৃশ্নিগর্ভং তার্চিষম। বাসুদেবং মহাত্মানং পুণ্ডরীকক্ষচ্যুতম্।। ৫৭ স্বরামুরগুরুং দেবং বিভূং ভুতমহেশ্বরম। একবৃহং চতুৰ্ব্বাস্থং জগৎকারণকারণম্।। ৫৮ ব্রহি মে ভগবন ধৰ্ম্মাংশ্চাতুব্বর্ণ্যস্ত শাশ্বতান। আশ্রমাচারসংযুক্তান সরহস্তান সসংগ্রহীন। ৫৯ এবমুক্তম্ভ দেবেশ: পুন: ক্ষেীণীমভাষত শৃণু দেবি ধরে ধৰ্ম্মাংশ্চাতুৰ্ব্বৰ্ণাশ্ব শাশ্বতান আশ্রমাচারসংযুক্তান সরহস্তান সসংগ্রহান ॥ ৬• হে নিক্রিয়! হে সপ্তশীৰ্ষ অর্থাৎ ভূ প্রভৃতির সপ্তলোক-স্বরূপ! হে যজ্ঞেশ্বর ! হে পুরাণপুরুষোক্তম! (১) " হে ধ্রুব অর্থাৎ নিত্য ! হে অক্ষর! হে সুস্থক্ষেশ অর্থাৎ পরমাণুক্রিয়াদিহেতু! হে বৎসল ! হে পাবন্ত ! তুমি সকল দেবতাদিগের গতি, তুমি ব্ৰহ্মবাদীদিগের গতি এবং হে পুরুষোত্তম! তুমি জ্ঞত্বজ্ঞানীদিগের গতি, হে জগন্নাথ ! তোমার আশ্রিত হইলাম। তুমি ধ্রুব, বাচস্পতি, প্রস্তু, সুত্রক্ষণ্য অর্থাৎ বেদ, ব্রাহ্মণদিগের অদ্বিতীয় হিতকারী, অজেয়, বসুষেণ, বসুপ্রদ এবং মহা যোগবলযুক্ত ; সৰ্ব্বব্যাপী আকাশও তোমার জঠরমধ্যে লুক্কায়িত, তুমিই তেজোরূপে চন্দ্র-স্বৰ্য্যাদিতে বিরাজ করিতেছ। তুমি বাসুদেব, মহাত্মা পুণ্ডরীকক্ষ, অচ্যুত ও মুরাসুরগুরু ; তুমি দেব, তুমি সৰ্ব্বব্যাপী, তুমিই সৰ্ব্বভূতের একমাত্র অধীশ্বর ; তুমি বিরাট মূৰ্বি, চতুৰ্ভুজ এবং তুমি জগৎকারণের অর্থাৎ পৃথিব্যাদি মহাভূতের স্বষ্টিকৰ্ত্ত। হে ভগবন! আমায় নিকট আশ্রমাগর-রহস্য এবং সংগ্ৰছসহ চতুৰ্ব্বর্ণের সনাতন ধৰ্ম্ম সকল বল ।” দেবাধিপতি বিষ্ণু এইরূপ কথিত হইয়া পুনৰ্ব্বার পৃথিবীকে বললেন – হে পৃথিবীদেবি ! যে সকল সাধুগণ তোমার রক্ষণ বেক্ষণ করিবেন, তাহাদিগের একমাত্র অবলম্বন আশ্রমাচার-রহস্য এবং সংগ্রহসহিত চতুৰ্ব্বর্গের সম, (১) পুরাণপুরুষ অঙ্কি-তাদিগের শ্ৰেষ্ঠ অর্থাৎ পরমাঙ্ক |