পাতা:ঊনবিংশতি সংহিতা.pdf/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলিষ্ঠসংহিত । স্বাধ্যায়িনং কুলে জাতং যে হস্তাদাততায়িনম্। বহুঙ্কতায় দাতব্যং নাস্তি মুখে ব্যতিক্রমঃ ॥ ব্রাহ্মণতিক্রমো নাস্তি বিপ্ৰে বেদবিবৰ্জ্জিতে । জলস্তমণিমুৎস্বজ্য ন হি ভষ্মনি হয়তে । যশ্চ কাঠময়ে হস্তী যশ্চ চময়ে মৃগ । যশ্চ বিপ্রোচুমুধীয়ানস্ত্রয়স্তে নামধারকাঃ ॥ বিষভোজ্যানি চান্নানি মুখ রাষ্ট্রেষু ভুঞ্জতে। তদন্নং নাশমায়াতি মহম্ব জায়তে ভয়ম্ ॥ অপ্রজ্ঞায়মানবৃত্তং যোহধিগচ্ছেদরাজ তদ্ধরেৎ অধিগঞ্জে ষষ্ঠমংশং প্রদায়। ব্রাহ্মণশ্চেদধিগচ্ছেৎ | যটুকৰ্ম্মস্ব বর্তমানে ন রাজা হরেং। আততানিং | হত্ব নাত্র ত্রাণমিচ্ছে: কিঞ্চিৎ কিল্বিষমাহু: ষড়বিধাস্বাততায়িন: | অর্থাপুদোহয়ন্তি । অগ্নিদে গরদশ্চৈব শস্ত্রপাণিধনাপহঃ । ক্ষেত্রদারহরশ্চৈব ষড়েত আততায়িনঃ ॥ আততায়িনমায়ান্থমপি বেদান্তপারগম। জিঘাংসস্তুং জিঘাংসীয়ান্ন তেন ব্রহ্মস্থা ভবেৎ ॥ সুপণ্ডিত ব্যক্তি বর্তমান থাকিলেও ঐ সুপণ্ডিত ব্যক্তিকেই হুব্য দান করিবে। মূর্থে ব্যতিক্রম নাই। বেদবর্জিত ব্রাহ্মণ হইলে তাহার অতিক্রমে ব্রাহ্মণতিক্রম হয় না । কোন ব্যক্তিই জলস্ত অগ্নি পরিত্যাগ করিয়া ভৰ্ম্মে আহুতি প্রদান করে না। কাঠময় হস্তী, চৰ্ম্মময় মুগ এবং অধ্যয়নপরায়ুখ ব্রাহ্মণ, ইহার তিনজন কেবল নামধারী মাত্র। রাজ্যে বিদ্বান ব্যক্তির ভোজ্য-অন্ন মুর্থে ভোজন করিলে সেই অন্ন নিরর্থক হয় এবং সেই রাজ্যে মহাভয় উপস্থিত হয়। যদি কেহ অপরের অবিদিত নিধি প্রাপ্ত হয়, তাহা হইলে রাজা সেই লাভকারী ব্যক্তিকে ছয় ভাগের একভাগ অর্পণ করিয়া স্বয়ং সমুদয় গ্রহণ করিবেন ; আর যদি ষটুকৰ্ম্মনিরত ব্রাহ্মণ ঐ ধন প্রাপ্ত হন, তাহ হইলে রাজা তাহা গ্রহণ করিবেন না । অক্সিরক্ষার্থ আততায়ীকে বধ করিবে ; এ বিষয়ে কিছুমাত্র পাপ নাই—ইহা কথিত আছে। অতিতায়ী ষড়বিধ । এ বিষয়েও উক্ত হইয়াছে ; অগ্নিদ, বিষদাতা, উদ্যতাস্ত্র, ধনাপহারী, ক্ষেত্রাপহারী, ও দারাপহারী—এই ছয় প্রকার আততায়ী । বেদান্তপারগ ব্যক্তিও যদি আততায়ী হইয়া আইসে, তাহা হইলে সেই হননেচ্ছু ব্যক্তিকে বধ কারবে, তাহাঙ্ক ব্ৰহ্মঘাতী হইবুে না। স্বাধ্যায়সম্পন্ন সংকুলজাত ব্যক্তিও আততায় হইলে ' 4 ఫిఫి ন তেন ভ্রুণহা স স্তন্মস্থ্যস্তন্মস্থামৃচ্ছতি ॥ . ত্রিণাচিক্ষেতঃ পঞ্চাগ্লিখ্রিসুপর্ণবান চতুৰ্ম্মেধা বাজসনেয়ী যড়ঙ্গবিদূত্রহ্মদেয়ান্থসস্তানশ্চন্দোগে জ্যেষ্ঠসামগো মন্ত্রব্রাহ্মণবিদ যস্ত ধৰ্ম্মানীতে যন্ত চ পুরুষমাতৃপিতৃবংশ: শ্রোত্রিয়ে বিজ্ঞায়তে বিশ্বাংসঃ স্নাতকাশ্চেতি পঞ্জিক্তপাবনাঃ । চাতুৰ্ব্বিদ্যে বিকল্প চ অঙ্গবিন্ধৰ্ম্মপাঠক অধমস্থাস্ত্রয়ো মুখ্য পরিষৎ স্বাদশাবরী ॥ উপনীয় তু য: কুৎস্নং বেদমধ্যাপয়েৎস আচার্ধ্যো ঘস্তেকদেশ স উপাধ্যায়ো যশ বেদাঙ্গনি। আত্মত্ৰাণে বর্ণসংস্কারে বা ব্রাহ্মণ-বৈশ্বে শস্ত্রমাদদীয়াতাম । ক্ষত্ৰিয়হ তু তল্পিত্যমেব রক্ষণাধিকারাং। প্রাম্বোদম্বসীন প্রক্ষাল্য পাদো পাণী চা মণিবন্ধনাং । অঙ্গুষ্টমূলম্বোত্তরতে রেখা ব্রাহ্মং তীৰ্থং তেন ত্রিরাচামেদশব্দবৎ । দ্বিঃ পরিমুজ্যাৎ খাদ্যপ্তিঃ সংস্পৃশেৎ মূৰ্দ্ধস্তপে নিনয়েৎ। সব্যে চ পাণে ব্রজংস্তিষ্টন مسئے۔তাহাকে বধ করিবে, তাহাতে ঘাতক ব্ৰহ্মহত্যাপাপে লিপ্ত হইবে না ; কেনন, আক্রান্তের ক্রোধাড়িমানিনী দেবতা আততায়ীর ক্রোধকে নিবৰ্ত্তিত করে। ত্রিণাচিকেত, পঞ্চাগ্নি, ত্রিমুপর্ণবান, চতুৰ্ম্মেধা, বাজসনেয়ী, ষড়ঙ্গবিং, ব্রাহ্মবিবাহে বিবাহিত নারীর বংশ, ছন্দোগ, জ্যেষ্ঠসামগ, মন্ত্রব্রাহ্মণাভিজ্ঞ ও ধৰ্ম্মাধ্যাপক, ইহার এবং যাহারা মাতৃপিতৃবংশে শোত্রিয় বলিয়া বিদিত, সেই ব্যক্তি আর বিদ্বান স্নাতক ব্যক্তিগণ, পঙক্তিপাবন। ক্রমিক চতুবিদ্যাবিশারদ, চারিজন ভার্কিক, অঙ্গশাস্ত্রজ্ঞ, ধৰ্ম্মশাস্ত্রীধ্যাপক, তিন আশ্রমের তিন জন প্রধান ব্যক্তি এই দশ জনের অনূ্যন থাকিলে “পরিষৎ" হুইবে । যে ব্যক্তি, উপনীত করিয়া সমস্ত বেদ অধ্যাপন করেন, তিনি আচাৰ্য্য ; যিনি একদেশ অধ্যাপন করেন. তিনি গুরু ; যিনি বেদাঙ্গ অধ্যাপন করেন তিনিও গুরু । আত্মরক্ষার্থ ও বর্ণসঙ্গেরু পরিহারার্থ, ব্রাহ্মণ ও বৈশুজাতিও শস্ত্র গ্রহণ করিতে পারবে। ক্ষত্রিয় নিত্যই শস্ত্র গ্রহণ করিবে ; কেননা, ক্ষত্রিয় রক্ষাকার্য্যে অধিকারী। পূৰ্ব্বমুখ বা উত্তরমুখ হইয়া বসিয়া পাদপ্রক্ষালন ও মণিবন্ধ হইতে করযুগল প্রক্ষালন করিবে, অঙ্গুষ্টমূলের উত্তর রেখার নাম ৰাক্ষতীর্থ ; তথায় জল লইয়া নিঃশব্দে তিনবার আচমন করিবে । দুইবার ,মূখ সূক্ষ্মার্জন করিবে ;