পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যদি কোথাও এমন থাকে ভারতবর্ষের মধ্যে তবে আমার সন্দেহ হয় তা আছে বা থাকা সম্ভব গোদাবরী তীরের অরণ্যে রাজমাহেন্দ্রী থেকে গোদাবরীর উজান পথে গিয়ে উত কামদ ও কোদাই কানাল অঞ্চলে। মহীশূর ও ত্রিবাছুরের রিজার্ড ফরেস্টে, হিমালয়ের নিম্ন অধিত্যকায়। আসামের বনে। যদিও এদেশের প্রত্যেকটা সম্বন্ধে আমি যা কল্পনা করচি তা আছে কিনা সে বিষয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ। আজ মনে বড় আনন্দ ছিল। জগো আর গোপালকে সঙ্গে নিয়ে বনফুলের সুবাসভরা বনপথ দিয়ে বেলেডাঙার আইনদি মণ্ডলের বাড়ী গেলাম। আইনদি যত্ন করে বসালে –ও নিজে কত গ্রামে পরিচিত সে গল্প করলে | “বহুরূপী সেজেছি বাপু, কাটামুধুর খেলা খেলেচি–নাগরদোলা ঘুরিয়েচি।” আমি ওকে খুশি করবার জন্তে বল্লুম-চাচা তোমাকে অনেক দূরের লোকে জানে । ও বড় খুশি ছোল। বল্লে-শোনো তবে আমায় কত গায়ের লোকে জানে। এই কাটুকোম্রা, ইছেপুর, মেটিরি, শুলুকো, হানিডাঙা... তার তালিকা আর শেষ হয় না । বল্লে—তা লাঠিতে বা বন্দুকে মরবো না, আমার গুরুর কৃপায়। আগুন খাবো । শল্পভরে যাবো। মুণ্ডু কেটে আবার জোড়া দেবো। আমি বিস্ময়ের সুরে বল্লাম-বল কি চাচা ? —ই, তোমাদের বাপ-যার আশীৰ্ব্বাদে, গুণ কিছু ছেল শরীলে। ওই যেখানে চটুল লোর সায়ের ছেল, ওখানে এক সন্নিলি এসে আস্তান বাধে আজ চল্লিশ বছর আগে । আমার তখন অনুরাগ বয়েস। তিনিই আমার ওস্তাদ | সন্ধ্যা হয়ে গিয়েচে দেখে উঠলু । জগো, গোপাল ও আমি ঘন বনের পথে আবার ফিরি। তখন কুঠার মাঠের জঙ্গলে অন্ধকার বড় ঘন হয়েচে । ওরা বাঘের ভয়ে বনের মধ্যে কথাবার্তা বলে না । আমি যত সাহস দিই, ওঁরা তত ভয় করে । আমাদের ঘাটে যখন এসেটি, তখন নিস্তব্ধ নদীচরের ওপরকার আকাে