পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ আশুতোষ হলে জাপানী কবি ইয়োন নোগুচির বস্তৃতা শুনতে গেলুম। চিত্রকর হিরোসিকের কতকগুলি ছবি, প্রধানত ল্যাণ্ড স্কেপ, বড় ভাল লাগ ল—বিশেষতঃ অৰ্দ্ধচন্দ্র, পূর্ণচন্দ্র, নানারকমের চাদের রূপ। প্রধানতঃ পল্লীদৃশু, ঝরনা, বঁাশঝাড়, গ্রাম্য নদী ইত্যাদি। হুকুসাই ও হিরোসিকে এ দু'জনের শক্তিই এ বিষয়ে খুব অসাধারণ বলে মনে হয়েচে আমার। নোগুচির বক্তৃতাও বেশ সুন্দর—সকলের চেয়ে আমার ভাল লাগল ঐ কথাট —'In the twilight, when the vision awakes’; Tifi o of:f3 জীবনে কতবার এটা দেখেচি বলেই আমার কথাটা বড় মনে ধরেচে। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা না থাকলে অনেক ভালো কথাই যে বোঝা যায় না, আমাদের দেশের অনেক Self-styled মালোচক সেই সব বোঝেন না । সেদিনে বঁাশ বাগানে রাঙা রোদ পড়ে যে দৃশুটার স্বষ্টি করেছিল, আজ ১৫১৬ দিন হয়ে গেল এখনও এই নোগুচির বস্তৃতা শুনতে শুনতে সেই কথাটা মনে হ’ল। সে আনন্দ মনের গোপন মন্দিরে এখনও সেই রকম সতেজ ও নবীন আছে। ওই দৃশুটা মনে এলেই আনন্দটাও আসে সঙ্গে সঙ্গে । প্রকৃতিকে দেখবার চোখ না খুললে মানুষের জীবনে সত্যিকার আনন্দ নেই, একথা কতবার বলেচি আমার নানা লেখার মধ্যে—কিন্তু আমাদের দেশের লোকে সব এক জোটে চোখ বন্ধ করে আছে। চোখ খোলায় সাধ্য করে ? স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও হার মেনে গিয়েছেন। অমুর্বর মরু বালুতে বীজ বপন করে ফল পাওয়ার আশা তো আকাশ কুমুম হ’তে বাধ্য। আজ রবিবার দিনটা দমদমার ওপারে একটা বাজে বাগান বাড়ীতে গিয়ে নষ্ট হ’ল। আমার এ ধরনের Outing মোটে পছন্দ হয় না—কি করি, দলে পড়ে যেতে হোল—বিশেষ করে মহিলাদের কথা ঠেলতে পারা যায় না ; কিন্তু একটা কপির ক্ষেতের সামনে বসে সতরঞ্চি বিছিয়ে রবীন্দ্রনাথের গান শুনে সদলবলে চ খাওয়ায় যে কি আনন্দ আছে, আমি তা বুঝলুম না। আর কি মশা ! কল্‌কাতার উপকণ্ঠে এই শীতকালে যেমন ভয়ঙ্কর মশার উপদ্রব, পাড়াগায়ে বর্ষাকালেও এর শিকি নেই। অথচ শহরের লোকে বিশ ত্ৰিশ হাজার টাকা খরচ করৈ শহরের উপকণ্ঠে--এই ধরনের সাজানো