পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাবার শোকে রেণু নাকি পূৰ্ব্বজন্মে আত্মহত্যা করেছিলো, ওকে কে বলেচে নাকি। অদ্ভুত মেয়ে! ওর দিদি জ্ঞান বাবুর বাড়ী গেল—ও গেল না। বল্লে—ওরা মোটরে যাক, আপনি আর আমি যাবে হেঁটে । সারা পথ ট্রেণে দু'বোনে গ্লান গাইলে । বালিগঞ্জে জোর করে আমায় নামিয়ে নিলে। একটা গন্ধরাজ ফুল কোথা থেকে তুলে নিয়ে এসে আমায় দিলে। চেয়ারের পাশে জ্যোৎস্নায় বসে রইল সব সময়। বল্লে—ঠিকান দেবেন, বাড়ী গিয়ে পত্র দেবো। দু:খ এই যে শীগগির চলে যাচ্চি। আগে । কেন ভাব হল না ..ইত্যাদি। অদ্ভুত মেয়ে বটে। ভারী ভাল লাগে ওকে, সব সময়ে ‘বাবা’ বলে ডাকবে আমাকে । রেণুর কথাটা কেমন এক ধরণের আনন্দে আমায় ক'দিন যেন ডুবিয়ে রেখেচে । এমন একটা মনের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটুল—যার সন্ধান পথে ঘাটে পাওয়া যায় না। তাই সবাইকে গল্প করে করে বেড়াচ্চি। আজ বিকেলে নীরদ বাবু, বৌঠাকরুন, পশুপতি বাবু, মিসেস্ দাসগুপ্ত সবাই মিলে গড়িয়ার মাঠে বেড়াতে গিয়েছিলুম। সঙ্গে হারমোনিয়ম গিয়েছিল, ষ্টেশনে নেমে মাঠের মধ্যে বসে আমরা গান গাইলুম। আমি হালুয়া তৈরী করলুদ উকুন জেলে । চা খাওয়ার পরে গল্পগুজব হোল। আমার কিন্তু রেণুক কথা বার বার মনে হয়ে বিকালট কি রকম হয়ে গেল। কেবলই মনে হয়, আহ, রেণু থাকলে বেশ হৈাত! ওদের কাছে কথাটা বললুম। ওরা তো শুনেই বয়ে, আগে কেন বল্লেন না, আমরা গিয়ে তাকে নিয়ে আসতুম | কাল রেণুদের বাড়ী গিয়েছিলুম। যেমন গিয়েছি ও তখনই ড়ে একখানা পাখা নিয়ে আমায় বাতাস করতে বসলো, বল্লে—সরবৎ করে নিয়ে আসি, দাড়ান। তারপর সব সময়েই মণি, আমি আর ওর থাৎ গল্প করচি, রেণু আমার পাশে জানালার ধারে বসে রইল। লক্ষ্মীপূজার দিন গিয়েচে কাল ওদের বাড়ীতে, তা ও ভুলেই গিয়েচে, ওর বাবা বলে, আপনি এসেচেন আর ও সব ভুলে গিয়েচে । বাইরের ৭৭৭ - জ্যোৎস্নায় মণি ওর কলেজ জীবনের কত কথা বল্পে । রেণু বল্লে—আপনার জন্যে রজনীগন্ধ রেখেছিলুম, শুকিয়ে গিয়েচে, পদ্ম আছে, দেবে এখন। আসবার সময় নীচু পৰ্য্যন্ত নেমে এল সঙ্গে, আর কেউ নয়, মণি এসেছিল, কিন্তু ওর বাবা ডাকলেন