পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- উৰ্ম্মিমুখর . ৬৫ কাটুলে কি ভাবে বাড়তে পারে তা কালী বাড়ীর বঁাশঝাড় না দেখলে বোঝা যাবে না। বাশের দুর্ভে জঙ্গল। এ বঁাশ কালীপূজার দিন ভিন্ন এবং ঠাকুরের প্রয়োজন ভিন্ন কেউ কাটতে পারেন, এ গ্রামের এই রীতি। এ গ্রামেও সৰ্ব্বত্র আম গাছের তলায় যথেষ্ট আম পড়ে আছে, কেউ কুড়োয় না। মাঠে পড়লুম, অতি ভীষণ রৌদ্র আজ, তবু একটু হাওয়া আছে তাই ঠাওঁ । রাস্তায় এসে ছায়া পাওয়া গেল, কিন্তু দুধারে যেমনি জঙ্গল, তেমনি মশা। একজায়গায় একটা লাল টুকটুকে আম কুডুতে একটু খানি দাড়িয়েচি, অমনি মশাতে একেবারে ছেঁকে ধরেচে সাড়া পোতার বাজার ছাড়িয়ে কল্যকার সঙ্গী সেই হাজার পরটার বেয়াই বাড়ী গেলুম। হাজারী পরটা বাইরে বসে তামাক খাচ্ছিল, আমায় দেখে লাফিয়ে উঠল, 'আসুন, দাদা বাবু মহা সৌভাগ্য যে আপনি এলেন, এঃ মুখ যে স্নান হয়ে গিয়েচে রোদে–(মুখ লাল হওয়ার যদিও আমার কোনো উপায় নেই, আমার কালে রং-এ ) আসুন, বলুন । তারপর সে নিজেই একখানা পাখা নিয়ে এল ছুটে, বাতাস দিতে আরম্ভ করলে নিজেই, তার বেয়াইকে ডেকে নিয়ে এল, আমার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলে—মহা খাতির। অনেকক্ষণ প্রায় ঘণ্টাখানেক সেখানে বসে গল্প করে সেখান থেকে বার হই। ওরা আবার একটু জলযোগ করলে, কিছুতেই ছাড়লে না। আবার রাত্রেও থাকতে বল্লে। আমি অবিশুি তাদের সে অনুরোধ রাখতে পারলাম না। গোররাপুরের বাজারের কাছে এসে দেখি মণীন্দ্র চাটুয্যে যাচ্ছেন। মণীন্দ্র বাবু প্রথমে আমায় চিনতে পারেন নি, নাম বলতে চিনতে পারলেন— বল্লেন, চলে আমার বাড়ী। আমি কম, বাড়ী গিয়ে তো থাকতে পারবো না, সুতরাং গিয়ে কোন লাভ নেই। আপনি কেমন আছেন, বলুন। তারপর দুজনে পথে দাড়িয়ে অনেকক্ষণ গল্প করলুম। মণীন্দ্রবাবু এ অঞ্চলের মধ্যে একজন মানুষের মত মানুষ। অমন উদারহৃদয় পরোপকারী, সদাশয় বৃদ্ধ এ সব দেশে নেই। আমি ওঁর কাছে গুরুতর অপরাধে অপরাধী। সে কথা এখানে আর ওঠানে চাইনে। তিনিও সে বিষয়ের কোন উল্লেখ করলেন না। বল্লম, শনিবারে আসতেই হবে আমাদের এখানে, উপেন ভট্টচাজের মেয়ের বিয়েতে, সেদিন আবার কথাবাৰ্ত্ত হবে। আজ আলি। আর কোথাও দাজুলুম না। স্বৰ্য ছেলে পড়েচে। রেশ নিস্তেজ ईब