পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঊর্ম্মিমুখর

দাড়িয়ে আমায় বলেছিল। আইনদি বল্লে—বড় ফুৰ্ত্তি করেচি মশাই, যাত্রার দলে গাওনা করেচি, বহুরূপী সেজেচি, বেহালা বাজিয়েচি | অ{{ iদর শাস্তরটা খুব পড়েচি। ধরে গিয়ে বেষোকেতু, গীতার বনবাস, বিদ্যয়ন্দর সব আমার মুখস্ত । তারপর সে বিদ্যেমুনীর থেকে খানিকট মুখস্ত বলে গেল। মহাভারত থেকে 'দাতাকর্ণ” খানিকট বল্লে ! এখন ওর বয়েস নব্বইয়ের কাছাকাছি, এই বয়সেও সে নিজে চাষবাস দেখে। সে হিসাবে আমি ত এখনও নব্য যুবক। আমার সালে এখন কত সময় পড়ে আছে। মনে করলে কত কাজ করতে পারি। কাল মতি মণ্ডলকে ঘুনি তুলতে দেখেও ঠিক এই কথাই মনে হয়েছিল। আইনদির বাড়ী থেকে সুন্দরপুরের পথে খানিকট বেড়াতে গেলুম। BBBBBB BB BBBB BBBBBSB BBBBB BBBB BBBB BBS মেঘের সজ্জার দৃশ্ব যেন মন কতদূরে কোথায় নিয়ে গিয়ে ফেলেছিল। পথে আসতে আসতে একটা করুণ দৃশ্য দেখে সন্ধ্যাবেলাটা মন বড় খারাপ হয়ে গেল ! গোরীলাদের একটা ছোট মেয়েকে তার মা ঘরের উঠানে এমন নিষ্ঠুরভাবে মারচে, আর মেয়েটা কাদচে । আহ, নিজের সন্তানের ওপর অত নিষ্ঠুরভাবে হাত ওঠায় কি করে তাই ভাবি। কি করবো, আমার কিছুই করবার নেই। এদিকে বৃষ্টি পড়চে টপ টপ করে, সঙ্গে দুটো ছোট ছোট ছেলে, তাড়াতাড়ি কুঠার মাঠের বনের পথ দিয়ে আমাদের আর বছরের চড়ুইভাতির জায়গাটা বুধোকে আর জগোকে একবার দেখিয়ে—তাড়াতাড়ি বাড়ী চলে এলুম। আজ দিনটা মেঘে মেঘে কেটেচে। কিন্তু সকালবেলায় একটু সুয্যের মুখ দেখেছিলুম। মেঘ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনটা কেমন খারাপ হয়ে গেল । দুপুরে ঘুমুচ্ছি, জগে৷ এসে ওঠালে। একটু পরে পুকুও এল । জানলার গরাদটা ধরে দাড়িয়ে তার নানা গল্প। তার মাথা নেই, লেখাপড়া কি করে হবে.এই সব কথা। আমার কৰ্ত্তব্য হিসাবে তাকে যথেষ্ট আশ্বাস দিলুম। তারপর পাচীকে আর ওকে রোয়াকে বসে সুর্য্য ও গ্রহনক্ষত্র সম্বন্ধে অনেক কথা বল্লুম। খুকু বেশ আগ্রহের সঙ্গে শুনলে । বল্লে, এ আমার বেশ ভাল লাগে। স্বৰ্য্য সম্বন্ধে কিছুই জানতুম না। আরও বলবেন একদিন ।