यू< * ۲ - ۹ جی苓 ઢ \ re কেন বাজাও কাকন কন্ কন্ কত ছল ভরে ঘরে ফিরে চলো কনক কলসে জল ভরে’ এই গানের ছত্র দুটির সঙ্গে আমার ১৮ বৎসর পূৰ্ব্বেকার প্রথম যৌবনের জীবনের একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। চেয়ে চেয়ে মনে হোল বর্ষাসতেজ সবুজ গাছপালা বনবোপে ঘেরা কোন একটা নিভৃত পরীভবনে তারা এখনও সব কিশোরই রয়ে গিয়েচে কত বৎসর আগের সেই এক প্রথম শরতের দিনগুলির মত। কোথায় যে তারা ছায়া ছবির মত মিলিয়ে গিয়েচে রজনীর মধ্যযামে শুক্ল চতুর্থীর চাদ যেমন মিলিয়ে যায়, এ কথা ভুলেই গেলুম ক্ষণকালের জন্তে পেট্রার্কের সম্বন্ধে যে কথা হয়েচে, বড় সত্যি সে কথা। “Know that for a lofty soul death is but a release from prison, that she frightens only those who look for their whole happiness in this poor earth.” প্রায় ছ' বছর পরে আবার রামরাজাতলায় গিয়েছিলুম রামরাজা ঠাকুরের ভাসান দেখতে। ননীদের বাড়ী গিয়ে উঠলুম, জতু খুব খুশি হোল, জতুর মাকে দেখলুম আজ বহুকাল পরে। অনেক সব পুরোনে কথা হোল। সঁতরাগাছি গ্রাম সম্বন্ধে ননী এমন সব গন্ন করলে যাতে জায়গাটার ওপরে আমার কোন শ্রদ্ধ রইল না। একজন লোকের স্ত্রী একটু পাগল মত, সে লোকটা নাকি তার স্ত্রীকে প্রায়ই এমন মারে, যে দু’তিন দিন বেচারী আর উঠতে পারে না । অথচ সেই লোকটী এখানে নাকি একজন সমাজপতি ! কলকাতার এত কাছে অথচ কাল্চার বলে কোনো জিনিস নেই এথানে, লোকে বোঝে দশটায় খেয়ে আপিসে ছোট, আর রবিবার দিন ভাল করে বাজার করে দুপুরে ঠেসে খাওয়া । গ্রামটাও অত্যন্ত নোংরা, চারিদিকে খোলা ড়েন, জঞ্জাল, দুর্গন্ধ, নোংরা জল গড়িয়ে চলেচে রাস্তার পাশ দিয়ে। আমি যতক্ষণ ছিলাম, দম বন্ধ হবার উপক্রম হয় আর কি। পম পড়ার মিছিল বার হবার আগে আমি আর ননী দুজনে পথের ধারে একখান। গরুর গাড়ীর ওপর গিয়ে বসলুম। প্রথমে বাক্সাড়া ও ব্যাতড়ের নবনারী কুঞ্জ বেন্ধলো, সঙ্গে অনেক সং, কাগজের এরোপ্লেন, রাক্ষসী, ইত্যাদি । পেছনে এল রামরাজার মিছিল। শেষের মিছিলটাই বড়, কিন্তু এমন কিছু দেখবার কি আছে বুঝলুম না। রাস্তার দুপাশে, ছাদে, বারানায়,
