পাতা:ঋষি রবীন্দ্রনাথ - অমলেন্দু দাশগুপ্ত (১৯৫৪).pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
ঋষি রবীন্দ্রনাথ

নিবেদনের প্রণাম রবীন্দ্রনাথ জানাইয়াছেন এবং প্রণামান্তে ঘোষণা “আমার একদিক থেকে বরিয়ে এসে আর একদিকের পরিচয় পাওয়া গেল ।”

 তাঁহার উপলব্ধি এবং অভিজ্ঞতার বিবরণ কে কিভাবে গ্রহণ করিবেন এবং বুঝিবেন, এই বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের মনে হয়তো কিছু দ্বিধা বা সংশয় ছিল। হয়তো সাধারণের নিকট ইহার যথার্থ অর্থ বোধগম্য বা গ্রহণযোগ্য নাও হইতে পারে, ইহাই ছিল তাঁহার ভয়। তাই তিনি অভিমত ব্যক্ত করিয়া গিয়াছেন—

 “এই আন্তরিক অভিজ্ঞতা অনেক কাল থেকে ভিতরে ভিতরে আমার মধ্যে প্রবাহিত—তাকে আমার ব্যক্তিগত চিত্তপ্রকৃতির একটা বিশেষত্ব বললে তাই আমাকে মেনে নিতে হবে।”

 তাঁহার এই আশঙ্কা নিতান্ত অমূলক, ইহা যদি কোন চিত্তের ‘বিশেষত্ব’ হয় তবে তাহা একমাত্র ব্রহ্মজ্ঞ পুরুষের চিত্তেরই বিশেষত্ব।