পাতা:ঋষি রবীন্দ্রনাথ - অমলেন্দু দাশগুপ্ত (১৯৫৪).pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ঋষি রবীন্দ্রনাথ
৮৯

 ‘গীতাঞ্জলি’র এই বিশ্ব স্বীকৃতির বহু পূর্বেই রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং তাঁহার এই রচনা সম্বন্ধে চিঠিখানিতে লিখিয়াছেন—

 “কবিতাগুলি আমি লিখব বলে লিখিনি—এ আমার জীবনের ভিতরের জিনিস—এ আমার সত্যকার আত্মনিবেদন—এর মধ্যে আমার জীবনের সমস্ত সুখ দুঃখ সমস্ত সাধনা বিগলিত হয়ে আপনি আকার ধারণ করেছে।”

 গীতাঞ্জলি রবীন্দ্রনাথের আত্মনিবেদন, গীতাঞ্জলি তাঁহার সমস্ত সাধনার মূর্তিমান রূপ—স্বয়ং কবির এই সুস্পষ্ট উক্তির পরে গীতাঞ্জলিকে তাঁহার আধ্যাত্মিক উপলব্ধির বিবরণরূপে গ্রহণ করিতে কোন বাধা থাকিতে পারে না। অর্থাৎ ইহা তাঁহার ব্যক্তিগত উপলব্ধিরূপেই আলোচ্যক্ষেত্রে উপস্থাপিত করিবার যুক্তি এবং অধিকার দুই-ই আমাদের রহিয়াছে।

 রবীন্দ্রনাথ ব্রহ্মজ্ঞ পুরুষ কিনা এই প্রশ্নের কি উত্তর গীতাঞ্জলি হইতে পাওয়া যায়, তাহাই অতঃপর যথাসম্ভব সংক্ষেপে আলোচনা করা যাইতেছে।