ক্রমশ উপরের দিকে উঠবে। কোন নরকে আগুন হাটু পর্যন্ত, কোন নরকে কোমর পর্যন্ত, কোন নরকে বুক পর্যন্ত ইত্যাদি। সর্বাপেক্ষা পাপী মুশরিকদের আল্লা হাভিয়া নরকে ঠেলবেন এবং সেখানে আগুন মাথা পর্যন্ত উঁচু হবে এবং তার জ্বালা পোড়া হবে পার্থিব আগুনের ৭০ গুণ বেশী। সেই আগুনে আল্লা পাপী মুশরিকদের ঝলসাবেন এবং প্রত্যেক বার ঝলসাবার পর নতুন চামড়ার সৃষ্টি করবেন, যাতে তারা অনন্তকাল ধরে শাস্তি ভোগ করতে পারে। তাই কোরাণ বলছে, “নিশ্চয় যারা আমার নিদর্শন সমূহের প্রতি অবিশ্বাসী হয়েছে, তাদের নিশ্চয় আমি নরকানলে প্রবেশ করাব, যখন তাদের চামড়া দগ্ধ হবে, আমি তখন তাদের চামড়া বদল করে (নতুন চামড়া) দেব, যাতে তারা (অনন্তকাল) শাস্তির আস্বাদ গ্রহণ করতে পারে, নিশ্চয়ই আল্লা পরাক্রান্ত ও বিজ্ঞানময়” (৪/৫৬)।
কাজেই বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয় যে, যেহেতু আল্লা সমস্ত কাফের ও মুশরিকদের ঘৃণা করেন, তাই তাদের প্রতি মুসলমানদের দৃষ্টিভঙ্গী কি হওয়া উচিত। বর্বর মুসলমান আক্রমণকারীর দল ভারতের মাটিতে পা দেবার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল পাইকারী দরে হিন্দু হত্যা। এক দিনের মধ্যে লক্ষ লক্ষ হিন্দু কেটে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেবার ঘটনা যে কত ঘটেছে যে তা গুণে শেষ করা যাবে না। সেই সব নিহত হিন্দুদের কেউই নাস্তিক ছিল না। সকলেই হিন্দু দেবদেবীতে বিশ্বাসী ছিল। একটি মাত্র দোষের জন্যই তাদের হত্যা করা হয়েছিল, তা হল তারা আল্লার কোরাণ ও আল্লার রসুল মহম্মদে বিশ্বাস করত না। অর্থাৎ তারা কলেমা ভৈরবে বিশ্বাস করত না। তাই তারা মুশরিক কাফের বলে চিহ্নিত হয়েছিল। সেই একই কারণে আজ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে হিন্দুদের নিমর্মভাবে হত্যা করা হচ্ছে। হিন্দু মহিলারা বলাৎকারের শিকার হচ্ছেন।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে যে সত্য বেরিয়ে আসে তা হল, ইসলাম একটি চূড়ান্ত সাম্প্রদায়িক ও ঘৃণার তত্ত্ব এবং এর প্রথম সিদ্ধান্ত “মিল্লাৎ ও কুফর” - এর উদ্দেশ্য হল সমগ্র মানব সমাজকে (১) মুসলমান ও (২) কাফের এই দুই দলে বিভক্ত করা। এবং মুসলমানদের মনে কাফেরদের প্রতি চরম ঘৃণা ও চিরন্তন শত্রুতা তৈরি করা। আল্লার দৃষ্টিতে কাফেররা জন্তু