তথাকথিত হিন্দু সেকুলারবাদীরাও ঐ একই কথা বলে চলেছে। যদি তাই হত তবে মুসলমানদের উচিত ছিল সবার আগে কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা, কারণ তারা ঈশ্বর মানে না। তারা নাস্তিক, কারণ তাদের মার্কসবাদী তত্ত্বে ঈশ্বরের কোন স্থান নেই। কাফেরের অর্থ যদি নাস্তিক হত তবে মুসলমান সন্ত্রাসবাদীদের পক্ষে কাশ্মীরের ও বাংলাদেশের হিন্দুদের হত্যা করা সম্ভব হত। কারণ সেই সব হিন্দুরা নাস্তিক নয় এবং তারা হিন্দু দেবদেবীতে বিশ্বাসী। যদি তাই হত তবে প্যালেস্টাইনের মুসলমানদের পক্ষে সম্ভব হত না। ইজরাইলের ইহুদীদের হত্যা করা। কারণ সেই সব ইহুদীরা তাদের ঈশ্বর ইয়াওয়েতে গভীরভাবে বিশ্বাসী। যদি তাই হত তবে ওসামা বিন লাদেনের পক্ষে পৃথিবীর সমস্ত মুসলমানকে ডাক দেওয়া সম্ভব হত না যে, আমেরিকার নাগরিকদের যেখানে পাবে, সেখানেই হত্যা করবে। কারণ আমেরিকার লোকরা নিরীশ্বরবাদী নয়, তারা বাইবেল-এর গড়ে গভীরভাবে বিশ্বাসী।
বর্বর মুসলমান আক্রমণকারীরা যখনই ভারতে পা রাখল, তখনই তারা হিন্দুদের কাফের বলে চিহ্নিত করল। শুধু কাফেরই নয়, তাদের বিচারে হিন্দুরা অত্যন্ত নিকৃষ্ট মুশরিক বলে সাব্যস্ত হল। কারণ তারা মূর্ত্তি পুজা করে। যে সব লোকেরা আল্লা ছাড়া অন্য কোন দেবদেবীর পূজা করে, ইসলামের দৃষ্টিতে তারা হল অংশীবাদী, কারণ তারা আল্লার শরিক খাড়া করে। আরবীতে একে বলে শির্ক। আন্নার দৃষ্টিতে এই শির্ক হল সর্বাপেক্ষা। গুরুতর পাপ, যার কোন ক্ষমা নেই। আর যারা মূর্তিপূজার নাম করে আল্লার শরিক খাড়া করে, তাদের বলে মুশরিক। কাজেই আল্লার দৃষ্টিতে সব হিন্দুই ঘৃণিত মুশরিক। এই সব মুশরিকদের শাস্তি দেবার ব্যাপারে আল্লা অত্যন্ত নির্মম ও কঠোর।
কেয়ামৎ বা শেষ বিচারের দিন আন্না সব মানুষকে কবর থেকে পুনরুপিত করে হাসরের ময়দানে জমায়েৎ করবেন এবং তাদের বিচার করবেন। মুসলমানরা মহম্মদের সত্যধর্ম গ্রহণ করার ফলে সবাই স্বর্গে যাবে, এবং সমস্ত কাফের নরকে যাবে। আল্লা অত্যন্ত বিজ্ঞ ও বিজ্ঞানময়। তাই তিনি এই সব কাফেরদের জন্য সাত রকমের নৱক তৈরি করে রেখেছেন। সব থেকে কম যন্ত্রণার নরকে আগুন পায়ের পাতা পর্যন্ত। পরবর্তী নরকগুলিতে আগুন
