সৌভ্রাতৃত্বে নেই। তাই এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বাবাসাহেব আম্বেদকর লিখেছেন, “ইসলামের সৌভ্রাতৃত্ব (মিল্লা) সমগ্র মানব জাতির জন্য নয়। এ হল মুসলমানদের মধ্যে মুসলমানদের সৌভ্রাতৃত্ব। এই সৌভ্রাতৃত্বের সুফল শুধু মুসলমানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যারা এর বাইরে তাদের জন্য আছে শুধু ঘৃণা ও শত্রুতা।”[১] ইংল্যাণ্ডে বসবাসকারী লেখক শ্রী আনােয়ার শেখ এ ব্যাপারে লিখেছেন, “মানবজাতির প্রতি ইসলামের ভালবাসা এক চূড়ান্ত মিথ্যাচার। ইসলামের অস্তিত্বের মূলে রয়েছে অমুসলমানদের প্রতি ঘৃণা। অমুসলমানদের শুধু নরকের অধিবাসী বলেই ইসলাম ক্ষান্ত থাকছে না। মুসলমান ও অমুসলমানদের মধ্যে চিরস্থায়ী এক ঘৃণা ও সংঘাত বিদ্যমান রাখাই ইসলামের উদ্দেশ্য”[২]। যে কতিপয় হিন্দু চিন্তা নায়ক ইসলাম সম্পর্কে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী ছিলেন, তাদের মধ্যে স্বামী বিবেকানন্দ ও স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী অগ্রগণ্য। ইসলামী সৌভ্রাতৃত্বে ব্যাপারে স্বামী বিবেকানন্দ লিখছেন, “মুসলমানরা মুখে বলে চলেছে সার্বজনীন সৌভ্রাতৃত্বের কথা, কিন্তু বাস্তবে কি দেখা যাচ্ছে? কোন অমুসলমান ব্যক্তির পক্ষে এই ভ্রাতৃত্বের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সম্ভব নয় তাে বটেই, বরং তার গলা কাটা যাবার সম্ভাবনাই দেখা দেবে”[৩]। স্বামী বিবেকানন্দ ইসলামী ঘৃণার তত্ত্ব ব্যাখ্যা করতে আরও লিখছেন, “তাহাদের (মুসলমানদের) মূলমন্ত্র, “আল্লা এক এবং মহম্মদই এক মাত্র পয়গম্বর”। যাহা কিছু ইহার বহির্ভূত সে সমস্ত কেবল খারাপই নহে, উপরন্তু সে সমস্তই তৎক্ষণাৎ ংস করিতে হইবে; যে কোন পুরুষ বা নারী এই মতে সামান্য অবিশ্বাসী তাহাকেই নিমেষে হত্যা করিতে হইবে; যাহা কিছু এই উপাসনা পদ্ধতির বহির্ভূত তাহাকেই অবিলম্বে ভাঙিয়া ফেলিতে হইবে; যে কোন গ্রন্থে অন্যরূপ মত প্রচার করা হইয়াছে সেগুলিকে দগ্ধ করিতে হইবে। প্রশান্ত মহাসাগর হইতে অটলাণ্টিক মহাসাগর পর্যন্ত ব্যাপক এলাকায় দীর্ঘ পাচশত বৎসর ধরিয়া রক্তের বন্যা বহিয়া গিয়াছে। ইহাই মুসলমান ধর্ম”[৪]
পাতা:এক নজরে ইসলাম.pdf/১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
এক নজরে ইসলাম
১৫