পাতা:এক নজরে ইসলাম.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
এক নজরে ইসলাম

আগেই বলা হয়েছে যে, মুসলমানদের পক্ষে সর্বাপেক্ষা পুণ্যের কাজ হল অমুসলমান কাফেরদের ওপর অত্যাচার করা। এই কাজের পুরস্কার স্বরূপ আল্লা নানা রকমের প্রলোভন মুসলমানদের সামনে রেখেছেন। এই সব পুরস্কার দুই ভাগে বিভক্ত, ইহলৌকিক ও পারলৌকিক। ইহলৌকিক পুরস্কার হল লুঠের মা এবং পারলৌকিক পুরস্কার হল স্বর্গের ভোগ সুখ। কাফেরদের। ধন-সম্পত্তি লুটপাট করে যে লুটের মাল পাওয়া যাবে তার এক পঞ্চমাংশ ইসলামী সংস্থাকে দিতে হবে। বাকীটা সব মুসলমানের মধ্যে সমান ভাগ হবে। জীবিতাবস্থায় নবী নিজে ওই এক পঞ্চমাংশ লুটের মালের মালিক হতেন। এখানে বলে রাখা দরকার যে, কাফের মহিলারাও লুটের মালের মধ্যে গণ্য। নবীর জীবিতকালে সর্বাপেক্ষা সুন্দরী মহিলাটির মালিক হতেন নবী স্বয়ং। এবং অন্যান্য মহিলাদের মুসলমানদের মধ্যে ভাগ করা হত ক্রীতদাস। হিসাবে বিক্রী করা হত।

পারলৌকিক প্রলোভনের ব্যাপারে প্রথমেই বলে রাখা দরকার যে, মহম্মদের সত্যধর্ম ইসলাম কবুল করার পুরস্কার হিসাবে অত্যন্ত পাপাচারী অধঃপতিত মুসলমানও আল্লার জান্নাতে (স্বর্গে) প্রবেশ করবে। পক্ষান্তরে অত্যন্ত সৎকর্মকারী, সত্যবাদী, পুন্যাত্মা কাফের, শুধু ইসলাম কবুল না করার অপরাধে স্থান পাবে আল্লার নরকে। শুধু ইসলাম গ্রহণ করার পুরস্কার হিসাবে শেষ বিচার বা কেয়ামতের দিন আল্গা মুসলমানদের পাহাড় প্রমাণ পাপ ক্ষমা করে দেবেন। শুধু মাত্র “লা ইলাহা ইল্লাল্লা, মহম্মদুর রসুলুল্লা কলেমা গ্রহণ করার জন্য অত্যপ্ত পাপমতি, পাপাচারী, পতিত মুসলমানও আল্লার জান্নাতে প্রবেশ করবে। এখানে বলে রাখা উচিত হবে যে, এ সব সুযোগ সুবিধা শুধু পুরুষ মুসলমানরাই পাবে। যত পূণ্য করুক না কেন, মুসলমান মেয়েরা সবাই নরকে যাবে।

আরবের মক্কা শহরের ঠিক উপরেই আল্লা তৈরি করে রেখেছেন তার জান্নাৎ বা স্বর্গ এবং মক্কার কাবার ঠিক ওপরেই রয়েছে স্বর্গের কেন্দ্র যেখানে রয়েছে স্বর্গীয় কাবা। অর্থাৎ স্বর্গের সেই কাবা থেকে একটা ওলন দড়ি ঝুলিয়ে দিলে তা মক্কার কাবাকে স্পর্শ করবে। স্বর্গে রয়েছে ৮টি শ্রেণী, সবার নিচে খে। তারপর দারস্ সালাম, দারুন, অদন, নঈম, মাওয়া, অলঅইন এবং